মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির শীর্ষ চারজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে এই কর্মকর্তাদের প্রথমত প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যদি তাদের ব্যক্তির মালিকানায় কোন সম্পদ থাকে সেগুলোর সব জব্দ করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর সংশ্লিষ্ট কোনও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে পারবে না তারা।
নিষেধাজ্ঞায় থাকা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং লাইং -ও রয়েছেন।
এছাড়া বাকি তিন কর্মকর্তা হলেন, ডেপুটি কমান্ডার ইন চিফ সো উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং।
নিষেধাজ্ঞার ওই ঘোষণায় মিয়ানমারের পরিবর্তে ‘বার্মা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও বলেন, তারাই প্রথম কোন দেশ বার্মিজ সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে হত্যা ও সহিংসতার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে এই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। দুই বছর আগের সেই সহিংসতার যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে।
জাতিসংঘের মিশন এর আগে জানিয়েছে যে, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা বন্ধে যদি আরও আগে পদক্ষেপ নেয়া হতো তাহলে রাখাইনে গণহত্যার অভিযোগে এই বার্মিজ সেনাদের দুই বছর আগেই দোষী সাব্যস্ত করা যেত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে কঠোর। ওই সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন থাকবে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।- সৌজন্যে – বিবিসি বাংলা অনলাইন।