কম-বেশি সকলেই মাথা ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন। রোদে ঘোরাঘুরি, ঠাণ্ডা লেগে সর্দি, মাইগ্রেন-সহ অন্যান্য অনেক কারণেই মাথা ব্যথার সমস্যা হতে পারে। আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেকেই মাথা ব্যথার সমস্যাকে খুব অবহেলা করি। কখনও কম, কখনও বেশি এ সব ব্যথাকে আমরা অধিকাংশ সময়েই তেমন একটা গুরুত্ব দিতে চাই না। অথচ এ সব ব্যথাই হতে পারে অনেক বড় কোনও সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ যা ভবিষ্যতে মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে! তাই এ সব ব্যাথাকে মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। হয়তো আপনার অবহেলার কারণে মারাত্মক সমস্যাটি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন! তাই জেনে রাখা ভাল কোন ধরণের মাথাব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে। চলুন জেনে নেয়া যাক…
১। হুট করে শুরু হয়ে মাত্র ৬০ সেকেন্ডের মধ্যে অসম্ভব রকমের মাথাব্যথার সমস্যা শুরু হওয়া অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। আর এই মাথাব্যথার কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, স্ট্রোক এবং অ্যানিউরিজম। সুতরাং, সতর্ক থাকুন!
২। মাথায় কোনও আঘাত পাওয়ার পর থেকে মারাত্মক ব্যথা শুরু হলে তা মোটেই অবহেলা করবেন না। অনেকেই ভাবেন আঘাত পেলে ব্যথা তো করবেই! কিন্তু আপনার অবহেলার কারণে আপনি পড়তে পারেন মারাত্মক সমস্যায়। খুব সামান্য আঘাতের কারণেও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে যা মাথার খুলিতে চাপের সৃষ্টি করে।
৩। প্রতিদিন সকালে উঠে কি মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন? মাথাব্যথা সেই সাথে বমি করার সমস্যা প্রায় নিয়মিত লক্ষ্য করলে তা অবহেলা করা মোটেই উচিত নয়। এটি হতে পারে মারাত্মক একটি রোগের লক্ষণ। যদি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমতে থাকে, আবার হাঁটাচলা, শারীরিক পরিশ্রম, মাথা নিচু করা ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে মাথাব্যথা বাড়তে থাকে, তাহলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন কারণ, এটি ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।
৪। সবচেয়ে মারাত্মক মাথাব্যথার সমস্যা হচ্ছে সেলেব্রাল অ্যানিউরিজমের। মাথার সঙ্গে এই ব্যথা গলা, ঘাড়েও অনুভূত হতে থাকে, সেই সঙ্গে বমি বা বমি বমি ভাব। এরই সঙ্গে আলোতেও ব্যথা বাড়ার প্রবনতা দেখা দেয়। এই সমস্যা লক্ষ্য করলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।