সেবারের স্মৃতি
২০১০ সালের কথা। ‘চিম্বুকের পথে’ এগিয়ে চলছে যান পাহাড়ি চড়াই-উতরাই পেরিয়ে। সহযাত্রী সবাই পাহাড়ি মারমা, ম্রো, খুমি ও অন্যান্য। ভাঙা-ভাঙা বাংলা জানে। কী নাম তোমার? ‘উ শাই উ।’ কী করো? ‘লেখাপড়া করি।’ রাজ্যের সরলতা মাখানো ফোলা-ফোলা চোখের শিশুটির সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা করি। বড় বড় গাছের ছায়াঘেরা রাস্তা, কোথাও কোথাও বেশ নিবিড় জঙ্গলের মতো, বহুরঙা পাখির ওড়াউড়ি, ধূসর রুক্ষ বন্ধুর ভূমিতে সবুজের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। চলতে চলতে হঠাৎ খাড়াই, বিপজ্জনকভাবে ওপরে চড়তে থাকে, কোথাও আবার বেঁকে যায় পথ, বাঁয়ে এত খাড়া যে তাকানো যায় না, অনেক নিচুতে পাহাড়ের ঢালে ঢালে খেলনার মতো ছোট ঘরবাড়ি, মানুষ, প্রাণী…, সমতল থেকে এত উঁচুতে কী অসীম দক্ষতায় বাস চালাচ্ছেন গাড়ির চালক, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না।
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় চার ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে যখন থানচি পৌঁছালাম, তখন সন্ধ্যা সাতটা। আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন অংশু সা মারমা। বান্দরবান থেকে ব্যবস্থা হয়েছিল অং শুই থুই মারমা আর কবি চৌধুরী বাবুল বড়ুয়ার কল্যাণে। খুব মিশুক এবং ভালো মানুষ অংশু শা তাঁর নিজের বাড়িতে নিয়ে তুললেন আমাকে। অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করছিল আমার মধ্যে। থানচি বাসস্ট্যান্ড থেকে হেডম্যানপাড়া ১৫ মিনিটের পাহাড়ি হাঁটাপথ। শরীর যদিও খুব ক্লান্ত, চারপাশের পাহাড়ে ঘনিয়ে আসা মায়াবী অন্ধকার মন ভরিয়ে দিল। পাশেই সাঙ্গু নদী, পুরো রাস্তাটাই নদীর সঙ্গে লুকোচুরি খেলে পথচলা।
এরই মধ্যে পৌঁছে গেলাম অংশু শা’র বাড়ি। ছোট্ট মাচাং ঘর। বাঁশের সিঁড়ি চড়ে মাচায় উঠতে হয়। পাশেই ঝর্নার জলে মায়াবী স্নান আগের রাত থেকে টানা জার্নির সমস্ত ক্লান্তি দূর করে দিল। আতিথেয়তার কমতি নেই। দোচোয়ানি, সবজি, ওদের ট্র্যাডিশনাল খাবার। খিদে ছিল প্রচণ্ড, খেয়ে হাজারো নক্ষত্রের নিচে মাচাংয়ের খোলা চাতালে হাত-পা ছড়িয়ে দিলাম। কখন যে রাত গেল, ভোর এল, টেরই পেলাম না। অদ্ভুত সুন্দর এক সকাল প্রকৃতি উপহার দিল আমায়। ভোরের পাহাড়ি অরণ্য অন্য রকম এক সৌন্দর্য, বলে বোঝানো যাবে না। এ শুধুই অনুভবের বিষয়। সকালটা পাহাড়ে, অরণ্যে ঘুরে বেড়ালাম। দুপুরে সাঙ্গু নদী পাড়ি দিয়ে বাজারের দিকে কিছুদূর হেঁটে এলাম। বিকেলে হেডম্যানপাড়া (মারমা পাড়া) ঘুরতে বের হলাম। কেউ-কেউ ভাঙা ভাঙা বাংলা বোঝে, বাকিরা শুধুই হাসে, আকার-ইঙ্গিতে কথা হয় কখনো, মাঝেমধ্যে দোভাষীর কাজ করেন অংশু শা। পরদিন মারমাপাড়ার একজন উদ্যমী তরুণ উশাই অংকে নিয়ে রওনা হই পাহাড়ি পথে। গন্তব্য রোমবেট পাড়া, ম্রোদের (মুরং) বাস।
পাহাড়ের পর পাহাড় ডিঙিয়ে যাচ্ছি, প্রকৃতি এখানে অকৃপণ। পাহাড় দিয়ে ঘেরা ছোট্ট এই থানচি, সাঙ্গুর নীল জলে পাহাড়ের কালো ছায়া ঢেউয়ে ভেঙে যায়। দৃশ্যজুড়ে সেগুনগাছের সমাহার, পথশোভা দেখতে দেখতে দিব্যি পাড়ি দিচ্ছি অসম্ভব সুন্দর এই হাঁটা পথ আর সবুজের যে কত রকম শেড এ পথে, বলে বোঝানো যাবে না। বান্দরবানের নৈসর্গিক দৃশ্য সত্যিই খুব অপূর্ব।
হেডম্যানপাড়া থেকে প্রায় ঘণ্টা দেড়েকের পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছালাম রোমবেট পাড়া। নিচে মাত্র ১২টি পরিবার নিয়ে এই পাড়া। অসম্ভব পরিশ্রমী এই মানুষেরা। খুবই সহজ-সরল ও দরিদ্র। শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্যসেবা নেই। পাহাড়ে একমাত্র জীবিকা জুম চাষ। দোভাষী হিসেবে কাজ করছিল উশাই অং কিছুটা, বাকিটা আকার-ইঙ্গিতে। ‘সুবর্ণগ্রাম মুরং-শিশু পাঠশালা’র ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হলো, গল্প হলো অনেক। তারপর চাঁদের আলোয় আবার আমাদের প্রকৃতির হাত ধরে ফিরে চলা। আরও এক দিন থানচি কাটিয়ে ফিরে এলাম বান্দরবান শহরে।
উঠলাম ‘গ্রিন হিলে’। বিকেলে ‘রেইনিং কিসে’ বান্দরবান জেলার প্রথম আলো বন্ধুসভার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা-গল্পে কাটল চমৎকার একটি বৃষ্টিঝরা অপরাহ্ন। আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান বন্ধুসভার সভাপতি চিংচিং ওয়ং পুপু, সাধারণ সম্পাদক, মাহবুবা জাহান, জগদীশ বড়ুয়া, চৌধুরী বাবুল বড়ুয়া, ক্যসামং, মংমং সো, কণিকা দে, রোমেন, জুয়েল, বিপ্লব, টুটু, কনক দে। এর মধ্যে বন্ধুসভার মাহাবুবা জাহান ও কণিকা দে ২০১০-এর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা সবাইকে মিষ্টিমুখ করাল। এবার ফেরার পালা। মনে মনে আবার ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বান্দরবানের পাহাড়ি স্বর্গরাজ্য থেকে সমতলের দিকে যাত্রা।
ম্রো পরিবারে কাটানো কয়েকটি দিন, জানুয়ারি ২০২১
প্রায় একযুগ পর আবার থানচিতে যাচ্ছি। এরমধ্যে গত নভেম্বরে বান্দরবান গিয়েছিলাম, কিন্তু থানচি যাওয়া হয়নি তখন। ঢাকা থেকে রিমু আর আমি রওয়ানা হয়েছিলাম ২৫ জানুয়ারি রাতে। ২৬ জানুয়ারি খুব ভোরে বান্দরবান শহরে পৌঁছে থানচি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে চড়ে বসলাম থানচির উদ্দেশে। ফেসবুকে ছবি দিয়ে একটা পোস্ট লিখলাম:
চান্দের গাড়ি চান্দের গাড়ি / পাহাড়ি পথ দিচ্ছে পাড়ি / আমরা চড়ছি সূর্যগাড়ি… / চান্দের সঙ্গে তাদের আড়ি
দুপুর একটার দিকে আমরা থানচি বাজারে পৌঁছে স্থানীয় একটা হোটেলে দুপুরের খাবার সেরে নিলাম। এরপর নিকিও ম্রো এলে তাঁর সঙ্গে তাঁদের পাড়া রোমবেট পাড়ায় পৌঁছলাম দুপুর দুইটার দিকে।
বান্দরবানের থানচির রোমবেট পাড়ায় নিকিও ম্রো পরিবারের সঙ্গে আমাদের প্রায় এক যুগের প্রাণ-বন্ধন। গত দুইদিন যাবৎ ওনাদের সঙ্গে আছি। ওদের জীবন দেখছি, আড্ডা দিচ্ছি, ম্রো ভাষা থেকে অনুবাদে সহযোগিতা করছেন ওই জনগোষ্ঠীর ইয়াং ভারপ্রাপ্ত কারবারি (গ্রামপ্রধান), আমাদের সুবর্ণগ্রাম ম্রো শিশু পাঠশালার শিক্ষক নিকিও ম্রো। নিকিও’র সঙ্গে আমার সম্পর্ক ১২ বছরে পড়লো, ২০১০ সালে এই পাঠশালার সূত্রে নিকিওর সঙ্গে বন্ধুতা। গত বছর নিকিওর বাবা রোমবেট ম্রো মারা যাবার পরে এক বছর যাবৎ নিকিও এই জনগোষ্ঠীর দেখভালের দায়িত্ব পালন করছে। নিকিও খুব ভালো ছেলে, অসম্ভব ভালো মানুষ, পরোপকারী।
বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুবর্ণগ্রাম’-এর একটি পাঠশালা আছে। পাঠশালার নাম ‘সুবর্ণগ্রাম ম্রো শিশু পাঠশালা’। এই পাঠশালাটি আমরা গড়ে তুলেছিলাম ২০১০ সালে রোমবেট পড়ার ম্রো শিশুদের পড়াশোনার জন্য। সেই সময়ে এই পাড়ার আশেপাশে কোনো স্কুল ছিল না। প্রায় এক যুগ আগে বাঁশ ও স্থানীয় গৃহনির্মাণ উপকরণ দিয়ে নির্মিত এই স্কুল-ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে, তাই নতুন করে আবার গড়ে তোলা হচ্ছে। মূলতঃ এই উদ্দেশ্যেই এবার থানচি আসা, কাজের পাশাপাশি ঘুরে বেড়ানো। আমার সঙ্গে এসেছেন রিমু সিদ্দিক, আমাদের সুবর্ণগ্রামের ‘শিশু-বিকাশ’-এর দায়িত্বে আছেন তিনি।
বান্দরবান বাংলাদেশের সুইজারল্যান্ড। পৃথিবীর অনেক দেশ ঘুরে আমি দায়িত্ব নিয়েই বলছি কথাটি। প্রকৃতি এখানে উজাড় করে সাজিয়েছে তার ভালোবাসার ডালা; এ যেন এক টুকরো স্বর্গ-স্পর্শ! আমাদের দেশে দেখার অনেক সুন্দর-সুন্দর স্থান আছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ! ভ্রমণে ইকো-ট্যুরিজমের ধারণাটি (পরিবেশ বান্ধব পর্যটন) মনে রাখা উচিত, সেই সঙ্গে একজোড়া অবলোকনের চোখ। ইকো-ট্যুরিজম হচ্ছে প্রকৃতির ইকো-সিস্টেম ঠিক রেখে ভ্রমণ করা, অর্থাৎ স্থানীয় পরিবেশের সংরক্ষণ, অর্থনৈতিক-সামাজিক বিকাশ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণ। আরও সহজ করে বললে, ইকো-ট্যুরিজম হচ্ছে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ ও ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ, প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতি না করে প্রকৃতিকে উপভোগ করা, ভ্রমণ করা।
আর হ্যাঁ, পাহাড়ে এলে পাহাড়কে ভালোবাসতে হয়, পাহাড়ের মানুষগুলোকে ভালোবাসতে হয়, তাঁদের জীবন-যাপন, তাঁদের ভাষা-সংস্কৃতিকে সম্মান জানাতে হয়। তবেই না প্রাণ-প্রকৃতি, প্রকৃতির সন্তানেরা আপনাকেও ভালোবাসা দেবে! রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘দেবে আর নেবে, মিলাবে মিলিবে।’
থানচিতে এবার আমরা পাঁচ দিন ছিলাম। এর মধ্যে প্রায়দিন বিকেলে রিমু আর আমি বেড়াতে গিয়েছি অং শুই থুই মারমা’র বাড়িতে, ভাবী আর তাঁদের রাজকন্যা খিউ প্রু মারমা’র সঙ্গে জমাটি আড্ডা হয়েছে। এরমধ্যে শেষ দিন অং শুই থুই দম্পতির অনুরোধে এক রাতের অতিথি ছিলাম ওনাদের নতুন বাড়িতে। একদিন বিকেলে অং-শুই থুই-এর বড় ভাই হেডম্যান হ্লা ফ সু মারমা আমাদের নিমন্ত্রণ করেছিলেন থানচির মারমা পাড়ায় তাঁর বাড়িতে। সেখানে থানচি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মংবোওয়াংচিং মারমা (অনুপম), অং শুই থুই, এবং অংশু শা ছিলেন আড্ডায়, অসাধারণ আড্ডা হয়েছিল সেদিন ওনাদের সঙ্গে।
স্কুল পূণঃনির্মাণের কাজের ফাঁকে ফাঁকে রিমু আর আমি, কখনো কখনো রিমু, নিকিও আর আমি বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে গিয়েছি। সেই সময়ে ছবির সঙ্গে ফেসবুকে কিছু কিছু পোস্ট লিখেছিলাম এমন:
১. চান্দের গাড়ি, চান্দের গাড়ি / ছুটছে কেমন তাড়াতাড়ি! / ওহে সূর্য গাড়ি, সূর্য গাড়ি / তোমার সঙ্গে এবার আড়ি
২. ওই যে পাহাড় চইলা গেল / চান্দের গাড়ি উইড়া গেল / কী সুন্দর যে দেখা গেল!
৩. সাঙ্গু নদী, সাঙ্গু নদী / দেখা আর না হয় যদি / সখি, ভুলো না আমারে / প্রাণে রেখো এই বন্ধুরে
ফেরার দিন বৌদি দুইটা টই উপহার দিয়েছিলেন। ম্রো ভাষায় বৌদি-কে বলে ‘তাই’। তাই নিয়ে ছোট্ট একটা পোস্ট লিখেছিলাম এমন: ভালোবেসে টই দিলেন ‘তাই’ / আহা এই জীবনে আর কী চাই! / আজ আমি টই রাজা, টই রাজা!
২৮ জানুয়ারি থানচি’র পাহাড়ি গ্রাম রোমবেট পাড়ায় ফুটেছিল চারধার আলো করা পূর্ণিমা। তার দু’দিন পর আমরা চলে এলাম বান্দরবান। সেই প্রাকৃতিক অনুভূতি নিয়ে ছোট্ট একটি কবিতা লিখলাম:
হৃৎ আকর্ষণে উড়ছে নিশীথ পাহাড় / গভীর স্পর্শে কাঁপছে লাজুক অরণ্য… / চাঁদের আলো দেখে ফেলেছে বলে- / মনে দ্বিধা 'ইশ কী লজ্জা, কী লজ্জা!’
কিছু জিনিস ফেলে যাওয়া ভালো / ভ্রমণ শেষে সবকিছু নিয়ে যেতে নেই
ম্রো পরিবারে আমাদের কয়েক দিনের সহজ জীবন-যাপন যত দ্রুত শেষ হয়ে আসছে ততই মন খারাপ হচ্ছে। দিনের বেলা পাঠশালা ঘর নির্মাণের কাজবাজ, শীতের সন্ধ্যায় সবাই দলবেঁধে ওদের মাচাং ঘরে বসে আড্ডা, গান, চা পান… রাতে কলা পাতায় জুমের চাষের বিন্নি ধানের ভাত, সবজি খাবার। খাবারের পরে আবার আরেক পশলা গল্প-আড্ডা, মাঘের পূর্ণিমা রাতের চারধার আলো করা জোৎস্নায় প্রকৃতির মধ্যে হেঁটে চলা, মগ্ন হয়ে চাঁদের দিকে এমনি এমনি তাকিয়ে থাকি। রাতভর ঝিরঝিরে বৃষ্টির মতো গাছের পাতা থেকে ঘরের চালে শিশির পতনের সংগীত, গভীর রাতে বেড়ার ফাঁক দিয়ে হু-হু ঠান্ডা বাতাস বয়। তবুও প্রকৃতির সন্তান এই মানুষগুলোর ভালোবাসায় আমরা উষ্ণ থাকি।
সকালে চা খেতে-খেতে আগুন পোহাই। আমরা ওঁদের ম্রো ভাষা জানি না, ওরা আমাদের বাংলা ভাষা জানেন না, তবুও সমস্যা তো হচ্ছে না। আমাদের পাঠশালার শিক্ষক নিকিও ম্রো ভাঙা-ভাঙা বাংলায় অনুবাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, বাকিটা ভাব বিনিময় চোখের ইশারায়, হাসিতে।
জটিলতাহীন সহজিয়া জীবন-যাপনে মানুষ যে কতো সহজেই সুখী হতে পারে, পাহাড়ের মানুষদের সঙ্গে ভালোভাবে না মিশলে তা বুঝতে পারতাম না। দুঃখ আছে, কষ্ট আছে, তারপরও জীবন নিয়ে তাঁরা সুখী। কী সুন্দর হাসতে জানে তাঁরা! আহা জীবন! জীবন কী সুন্দর!
লেখক: শাহেদ কায়েস। কবি ও অধিকারকর্মী