খাসির কলিজা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু মুরগির কলিজা কি ততটাই উপকারী? এ নিয়ে আমাদের অনেকেরই ভিন্ন মত রয়েছে। আসুন মুরগির কলিজা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির মাংসের তুলনায় মুরগির কলিজার পুষ্টিগুণ কোনো অংশে কম নয়। মুরগির কলিজায় রয়েছে নানা রকম ভিটামিন, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফাইবার ছাড়াও আরও অনেক উপকারী উপাদান। মুরগির কলিজায় থাকা ভিটামিন-এ এবং বি আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক। ডায়বেটিসের মতো অসুখে আক্রান্তদের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও কলিজায় থাকা ফাইবার ও আয়রন আছে তা শরীর ও হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। মুরগির কলিজায় রয়েছে সেলেনিয়াম নামের আরও একটি জরুরি উপাদান যা ক্লোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। এছাড়াও সেলেনিয়াম শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ছোট-বড় সংক্রমণ, শরীরের গাঁটে গাঁটে ব্যথা, কৃমির সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
বিশ্বের বড় বড় পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির কলিজায় রয়েছে দস্তা বা জিঙ্ক যা জ্বর, টনসিলাইটিস, সর্দি-কাশি সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও মুরগির কলিজায় থাকা কোলাজেন ওইলাস্টিন আমাদের শরীরের শিরা-উপশিরায় রক্ত প্রবাহ সহজ ও স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। শরীরের বিভিন্ন অপুষ্টিজনিত সমস্যা দূর করতে, দ্রুত ওজন বাড়াতে মুরগির কলিজার জুড়ি মেলা ভার।
তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের মুরগির কলিজা না খাওয়াই ভাল। কারণ এতে শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই আপনার যদি হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা না থাকে, তাহলে এখন থেকে আপনার খাদ্যতালিকায় জুড়ে নিন মুরগির কলিজা। খেতেও ভাল, উপকারীও বটে!