আল-মামুন,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়িতে ইউপিডএফ’র কেন্দ্রীয় নেতা ও সংগঠক মিঠুন চাকমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ৭ দিনের কর্মসূচী ঘোষনা করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সোমবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের স্বনির্ভর ইউপিডিএফ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় সদস্য নতুন কুমার চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ইউপিডিএফ’র জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভানেত্রী নিরূপা চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিনয়ন চাকমা প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মদদে পরিকল্পিত নব্য মুখোশধারী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে মিঠুন চাকমাকে কাপুরুষোচিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। অতি দ্রুত তার খুনীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা না হলে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচী দিতে সংগঠনটি বাধ্য হবে। এ ঘটনায় হত্যাকারীরা নিহতের পরিবারকে মামলা না করতে মুঠোফোনে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
হত্যাকন্ডের চারদিন পার হলেও মিঠুন চাকমার হত্যাকরীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
কর্মসূচীতে আগামি ৯ জানুয়ারী খাগড়াছড়ির ৮ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ, ১১ জানুয়ারী জেলা সদরে বিক্ষোভ, ১৪ জানুয়ারী স্বরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ১৭ জানুয়ারী রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে সংহতি সমাবেশ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ১৯ জানুয়ারী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংহতি সমাবেশ ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ২৮ জানুয়ারী পিসিপি’র শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অগণতান্ত্রিক সার্কুলার প্রত্যাহারসহ ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে স্মারকলিপি প্রদান ও পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস-পরিকল্পিত হত্যাকান্ড,ভূমি বেদখল,অপসংস্কৃতির বিস্তার ও সাম্প্রদায়িকতা রোধে ঢাকায় ৪-৫ ফেব্রুয়ারী ছাত্র-যুব-নারী কনভেনশনসহ ৭দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের স্লুইস গেইট এলাকায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের গুলিতে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় নেতা মিঠুন চাকমা নিহত হয়।
এ ঘটনার চার দিন পর শনিবার রাতে এসআই একে এম মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৭/৮ ব্যক্তিকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করে। এ ঘটনার জের ধরে ৬ ও ৭ জানুয়ারি পর পর দু’দিন সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করে সংগঠনটি।