মাদকের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তারই অংশ হিসেবে দুই মাস আগে থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬ জন ডোপ টেস্ট পজিটিভ হয়েছেন। পর্যায়ক্রমে অন্য পুলিশ সদস্যদেরও ডোপ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম।
পুলিশ সূত্র জানায়, দুই মাস আগে থেকে ডিএমপিতে পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট শুরু করা হয়। এর মধ্যে ১০৫ জনের মতো সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়। এতে চারজন এসআই, তিনজন এএসআই, একজন নায়েক, ১৭ জন কনস্টেবলের ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
গতকাল শনিবার সকালে মিরপুরে ট্রাফিকের ডিসির নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মাদকের বিষয়ে আমরা সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করিয়েছি। এর মধ্যে ২৬ জন সদস্যের পজিটিভ পেয়েছি। এই ২৬ জনকে চাকরিচ্যুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
এ সময় ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে বাকিদের জন্য সুস্পষ্ট মেসেজ যাবে যে আমরা কাউকে ছাড় দেব না। আমাদের এই উদ্যোগের ফলে অনেকে ভালো হয়ে গেছে এবং এ রাস্তা থেকে ফিরে এসেছে। পুলিশ সদস্য যারা মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে বা মাদক ব্যবসায়ীকে সহযোগিতা করছে, সরাসরি তাদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো রকম শিথিলতা দেখানো হচ্ছে না। একজন সাধারণ মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ঠিক সেভাবে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’