সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে থাকা গুগলের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে না। তবে, সাধারণ ইন্টারনেট ইউজারদের গুগল সার্চের মধ্য দিয়ে ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। দেখা যায় নিজের প্রয়োজনে সার্চ করতে গিয়ে উল্টে বিপদে পড়েন অনেকে। তাই গুগল সার্চে অন্তত ৫টি জিনিসের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
১. ব্যাংকিং সংক্রান্ত যে কোনও লিঙ্ক : গুগল সার্চ করে কোনও ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইটে ঢোকার আগে সাবধান। ডুপ্লিকেট ভুয়া ওয়েবসাইট থেকে সর্বস্বান্ত হতে পারেন। তাই ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রে অবশ্যই সরাসরি ওয়েব অ্যাড্রেস টাইপ করে খুলুন। অথবা সেই ব্যাঙ্কেরই তৈরি অ্যাপ ব্যবহার করুন। অনলাইন লেনদেনের সময় থাকুন সতর্ক।
২. অ্যাপ ও সফটওয়্যার : অনেকেই বিভিন্ন অ্যাপ ও সফটওয়্যার সরাসরি গুগল সার্চ করে খোঁজেন। এমন কিছু অ্যাপও থাকে যা গুগল প্লে স্টোরে থাকে না। কিন্তু এভাবে ডট এপিকে ফাইল ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সবসময়েই ঝুঁকি থেকে যায়। অজানা সাইট থেকে অ্যাপের আকারে ডাউনলোড হতে পারে ম্যালওয়্যার। ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার প্রাইভেসির দফারফা। স্মার্টফোনের বারোটাও বাজতে পারে।
৩. ওষুধ ও চিকিৎসা : গুগল সার্চ ব্যবহার করে ডাক্তারি না করাই ভাল। টুকটাক শরীর খারাপের প্রাথমিক চিকিৎসা ইত্যাদি দেখতেই পারেন। তবে শরীর খারাপের ক্ষেত্রে গুগল সার্চ করে কোনও ওয়েবসাইট দেখে ডাক্তারি করা মোটেও বিচক্ষণ কাজ নয়। গুগল-এ সার্চ করে হঠাৎ কোনও ওষুধ, সাপ্লিমেন্টও কেনা অনুচিত।
৪. শেয়ার বাজার, ট্রেডিং-এর বুদ্ধি : গুগল-এ এ সম্মন্ধে সার্চ করলেই হাজারো ওয়েবসাইট ভরা পরামর্শ পাবেন। কিন্তু নির্দিষ্ট ও নামী কিছু ওয়েবসাইট ছাড়া শেয়ার বাজার সংক্রান্ত বুদ্ধি না নেওয়াই শ্রেয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন ভুয়া সংস্থা ‘ট্রেডিং’-এর নাম করে প্রতারণার ফাঁদ পেতে থাকে। তাই এই বিষয়ে গুগল সার্চের উপর বেশি নির্ভর না করাই ভাল।
৫ .কাস্টমার কেয়ার নম্বর : ধরুন আপনি অনলাইন কোনও জিনিস কিনেছিলেন। সেটি রিটার্ন করায় রিফান্ড পাবেন। কিন্তু ২ দিন পরেও টাকা ফেরত পাননি। এমন সময়ে কিন্তু ভুলেও গুগল করে সেই সংস্থার কাস্টমার কেয়ার নম্বর খুঁজতে যাবেন না। অনলাইন বিপনন সংস্থার আদলেই নকল ওয়েবসাইট খোলে প্রতারকরা। সেখানে থাকে ভুয়া নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করলেই পড়তে হবে ফাঁদে।