যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে মহাকাশে পাড়ি জমাতে পারল না ভারতের ‘চন্দ্রযান-২’। উৎক্ষেপণের ৫৬ মিনিট আগে চন্দ্র অভিযান স্থগিত করা হয়।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎক্ষেপণের মাত্র ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে চোখে পড়ে যান্ত্রিক সমস্যা। সে কারণেই ‘চন্দ্রযান-২’-এর যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। উৎক্ষেপণের নতুন তারিখ পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হাজির ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোররাত ২টা ৫১ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযান-২-এর উৎক্ষেপণের কথা ছিল। কিন্তু শেষ মূহুর্তে তা স্থগিত হয়ে যায়। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন রকেট থেকে জ্বালানি লিক করেছে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, শুধু রকেটের নিজের ওজনই ৬৪০ টন। তার উপরে চন্দ্রযানের ওজন আরও ৩৮০০ কিলোগ্রাম। ১৫ তলা সমান উচ্চতার এ রকেটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাহুবলী’।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি অরবিটার, একটি ল্যান্ডের ও একটি রোভার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল ‘চন্দ্রযান-২’-এর। এই যানটির ব্যবহৃত সমস্ত যন্ত্রাংশ ভারতেই ডিজাইন করা হয়েছে।
মহাকাশযানটিকে বহন করে কক্ষপথে নিয়ে যেতে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- ইসরো তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট জিএসএলভি এমকে থ্রি ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
ইসরো জানায়, তাদের দ্বিতীয় এই চন্দ্রযানের জন্য খরচ হয়েছে অন্য যানের চেয়ে কম। ‘অ্যাভেঞ্জারস এন্ড গেম’ মুভির থেকেও কম হয়েছে এর খরচ। কারণ ছবিটি তৈরি হয়েছে প্রায় ৩৫ কোটি ডলারে। সেখানে দ্বিতীয় চন্দ্রযানের বাজেট মাত্র ১৪ কোটি ডলার।
২০০৮ সালে ভারত প্রথম চাঁদের উদ্দেশ্যে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। তখন চাঁদের কক্ষপথে গিয়েছিল চন্দ্রযান-১। সেবার পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহে থাকা হাইড্রক্সিল আয়নের খোঁজ পেয়েছিল এটি। কিন্তু এবারের অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল, চন্দ্রপৃষ্ঠের বালিকণায় থাকা খনিজ ও মৌল পদার্থ সম্বন্ধে জানা।
এ অভিযান সফল হলে ভারত হবে চন্দ্রজয়ী চতুর্থ দেশ। এর আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এ তালিকায় নিজেদের নাম লিখিয়েছে।