করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত ভয়াবহ অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পড়েছে চীন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক পরাশক্তির এই বিপর্যয়ের প্রভাব চীনকে ছাড়িয়ে পৃথিবীর অন্যান্য রাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
বিশ্বব্যাপী পণ্য ও সেবার উৎপাদক এবং ভোক্তা হিসেবে চীন বরাবরই এগিয়ে। অথচ এ বছর প্রথম তিন মাসেই চীনে বেকারত্ব, ছোট কোম্পানিগুলোর দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সহ স্থায়ী আয়ের ক্ষতির হার বেড়েছে। গত দুই দশক ধরে যেখানে প্রতি বছর চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার গড়ে ৯ শতাংশ সেখানে এ অর্থবছরে প্রথম তিন মাসেই এই ধ্বস চীনের প্রবৃদ্ধির প্রায় ৬ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে বলে আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সমুন্নত রাখতে কেন্দ্রীয়ভাবে কাজ করা শুরু করলেও বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতি ঠিক হবার আগ পর্যন্ত এর মাত্রা হবে খুবই সামান্য কেননা, রপ্তানির ক্ষেত্রে বাধা রয়েই যাবে । গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ভাষ্যমতে, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যেতে না হলেও চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে হয়ে যাবে ১.২ শতাংশ। রপ্তানির উপর নির্ভরশীল কোম্পানিগুলোতে কর্মী ছাটাইয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শেয়ার বাজারও স্থিতিশীল নয়।
‘পৃথিবীর কারখানা’-খ্যাত চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সহায়ক হলো এর উৎপাদন খাত। মার্চের শুরু থেকে অল্প পরিসরে উৎপাদন খাত এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করলেও তা স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেতে এখনো অনেক দেরী। এ প্রসঙ্গে অক্সফোর্ড ইকনমিক্স এর বিশ্লেষক লুইস কুইজিস চীনের নীতি নির্ধারকদের অর্থনীতির এই শিথিলতাকে মেনে নিয়ে পরবর্তী বছরের প্রবৃদ্ধির দিকে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
-বিবিসি নিউজের তথ্যসূত্র অবলম্বনে লিখেছেন: মাহজাবীন ফেরদৌস