জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজারের সঙ্গে তারা যৌথভাবে যে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে তা যুক্তরাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর।
আনাদলু এজেন্সিকে তুর্কিস-জার্মান বিজ্ঞানী উগুর শাহীন বলেছেন, তাদের ভ্যাকসিনে কোনো সমস্যা নেই এবং তাদের টিকা কার্যকরী।
সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন বৈশিষ্ট্যের এই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর তা গোটা যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। অক্টোবরে ব্রিটেনে যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ৫০ শতাংশই এই নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসের কবলে পড়েছেন।
জার্মানির এ বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘এটি ভাইরাসের প্রথম রুপান্তর নয়। এর আগেও কয়েকবার রুপান্তর হয়েছে। আমরা এর আগের সব রূপান্তরগুলো পরীক্ষা করেছি এবং এতে কোনো সমস্যা পাইনি। নতুন রূপান্তরগুলো পরীক্ষা করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে, তবে আমরা ভয় পাই না। আমাদের পরীক্ষা করা প্রয়োজন।’’
যুক্তরাজ্যের করোনার নতুন রূপান্তর নিয়ে গবেষণার সীমাবদ্ধ আছে জানিয়ে উগুর শাহীন বলেন, ‘‘আমরা সবাই এখন পর্যন্ত জানি এটি নতুন। কিছু মানুষ বলছে এটি খুব দ্রুত একজনের মাধ্যমে অন্যজনের শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমরা জিনগত রূপান্তরগুলো আমাদের পরীক্ষাগারে নিয়ে এসেছি এবং এটি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছি।’’
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছিল ব্রিটেন। পরে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে। এরইমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিনটির প্রয়োগ শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ শুরু করায় ইইউর ওপর চাপ বাড়ছিল।
জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর চাপের মুখে সোমবার ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দেয় ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ)। এর কিছু সময় পরেই নিজেদের ভ্যাকসিন নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথা জানান উগুর শাহীন।