বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোন সন্ত্রাসী হতাহত না হলেও স্থানীয় এক নারী নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার দুর্গম নাইতিংঝিড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
গত ৭ জুলাই বাঘমারার বাজার পাড়ায় জেএসএস (সংস্কারপন্থী) দলের ৬ সদস্যকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যার তিন দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটলো।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যার কিছু পর সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অংগাইপড়ার নাইতিং ঝিড়ি এলাকায় অবস্থানের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। পরে সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়। বেশ কিছু সময় ধরে গুলির আওয়াজ শোনা যায় বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।
রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৌহিদ কবির জানান, গোলাগুলির ঘটনায় জুম ঘরে থাকা শান্তি লতা (৩০) ও তার শিশু অর্জুন তঞ্চঙ্গ্যা (৭)গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় সেনা সদস্যরা গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থলেই মারা যায় শান্তি লতা। আহত শিশুটিকে রাতেই সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে বাঘমারার ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমা গ্রুপের ১০ সদস্যসহ অন্তত ২০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।