শিশুরা সাধারণত মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করে। এ জন্য শিশুদের পেটে বেশি কৃমি বাসা বাধে। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রত্যেক মানুষের ছয় মাস পর পর কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত।
খেয়াল করলেই দেখবেন যে, মাঝেমধ্যেই সন্তানের পেটে ব্যথা ও মাথার যন্ত্রণা হচ্ছে। ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও ওর ক্লান্তি কাটছে না আর খাবারে অরুচি হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হলো– কীভাবে বুঝবেন সন্তানের শরীরে কৃমি বাসা বেঁধেছে-
কৃমির উপসর্গ
১. মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়া।
২. মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া।
৩. ঘুমনোর সময়ে মুখ থেকে লালা পড়া।
৪. অকারণে ক্লান্ত হয়ে পড়া।
৫. ত্বকে র্যা শ, চুলকানির সমস্যা।
৬. খিদে না পাওয়া।
৭. গা-হাত-পা ব্যথা।
কী করবেন?
১. কাঁচাহলুদ অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। কৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কাঁচাহলুদ খেতে পারেন।
২. কাঁচা রসুনে প্রায় ২০ ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ৬০ ধরনের ফাংগাস ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। তাই সন্তানকে নিয়মিত কুচনো কাঁচা রসুন খাওয়ান।
৩. আদা হজমের সব রকমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। হজমের সমস্যা, অ্যাসিডিটি, পেটে ইনফেকশন ইত্যাদি দূর করতে আদা খেতে পারেন।
৪. শিশুকে খালি পেটে কাঁচা আদার রস খাওয়ান। কৃমির সমস্যায় দ্রুত সেরে যাবে।
৫. পেটের সমস্যা দূর করতে পেঁপে খুব ভালো কাজ করে। কৃমি সমস্যায় পেঁপের বীজ খুবই কার্যকর। কৃমির সমস্যায় দ্রুত ফল পেতে সন্তানকে পেঁপে আর মধু খাওয়াতে পারেন।
৬. ফিতাকৃমির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে শসার বীজ খাওয়াতে পারেন শিশুকে। শশার বীজ শুকিয়ে গুঁড়ো করে প্রতিদিন এক চা-চামচ করে খেলে কৃমির সমস্যায় দ্রুত ভালো হবে।