প্রিয়া সাহার ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবেনা। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট করার যে পাঁয়তারা তারা করেছে তা সফল হবেনা। ২২ জুলাই সোমবার বান্দরবানের লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরকারি উন্নয়ন সামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এইসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।
তিনি আরো বলেন, প্রাণ না হারিয়ে প্রশাসনের আহবানে সাড়া দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশ ও নদী ভাঙ্গনের স্থান হতে নিরাপদে সরে আসুন। অতিবৃষ্টি হলেই ঝুঁকিতে থাকা লোকজন নিজের পরিবারকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসবেন। পার্বত্য এলাকার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পাহাড়ে বাঁশ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার অধিক বরাদ্দ প্রদান করেছে।
তিনি বলেন, যে সকল দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় আগামী ১০ বছরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হবেনা সে সব এলাকা বিনামূল্যে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আলোকিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলায় ১০ হাজার ৮শ’ পরিবারকে সোলার দেয়া হয়েছে এবং আগামীতে আরো ৪০ হাজার পরিবারকে সোলার দেয়া হবে।
লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানটিতে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম, সদস্য (প্রশাসন) হারুণ-অর রশিদ, বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, সেনাবাহিনীর লামা-আলীকদম জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বদিউল আলম, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল দাশ, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ফাতেমা পারুল, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মজনুর রহমান প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে নির্বাচিত উপকারভোগীদের মাঝে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অস্বচ্ছল ও প্রান্তিক পরিবারের নারী উন্নয়নে ৬০টি গাভী বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক দুঃস্থ, অসহায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ১ম ও ২য় পর্যায়ে ৭২০টি সোলার প্যানেল বিতরণ, ২০টি সেলাই মেশিন, স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে ৩টি ল্যাপটপ ও ২টি ক্যামেরা বিতরণ, দাতা সংস্থা জাইকা কর্তৃক লামা সরকারি হাসপাতালে ১টি ইসিজি মেশিন, ১টি আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ৬টি বিদ্যালয়ে ১৫ জোড়া করে হাই ও লো বেঞ্চ, ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেম, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক লামায় বন্যা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্থ ২০ পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা করে ১লক্ষ টাকা ও ৪ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাউল বিরতণ করা হয়েছে। এরপর বিকেলে পার্বত্য মন্ত্রী লামা পৌরসভার মধুঝিরিস্থ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে নতুন রেষ্ট হাউজ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন।