প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সমালোচনার মুখে থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) তুলে দেওয়ার কথা বলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এমসিকিউ প্রশ্ন পর্যায়ক্রমে তুলে দেওয়া হবে। তাহলে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ থাকবে না।”
চলতি এসএসসিতে এই পর্যন্ত সবগুলো বিষয়েরই এমসিকিউ প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর আগেই ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে।
১৯৯২ সালে এসএসসিতে প্রবর্তনের সময় ৫০ নম্বরের পরীক্ষা এমসিকিউতে নেওয়া হত। পরে তা কমিয়ে আনা হয়।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এমসিকিউ তুলে দেওয়ার পক্ষে এর আগে শিক্ষা সচিবও মত জানিয়েছিলেন।
গত বছরজুড়ে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের পর এবার এসএসসিতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কড়া হুঁশিয়ারি এবং প্রশ্ন ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিলে পুরস্কার ঘোষণার পরও চলছে একই ধারা।
এক মাস আগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আসা কাজী কেরামত বলেন, “একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলার পর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সংসদে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, “পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। চরম ব্যর্থতা বলব না। মনে হয় সাহসী সৎ নিষ্ঠাবান লোক সেখানে নেই।
“শিক্ষা বোর্ড দুর্নীতির আখড়া হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। সৎ নিষ্ঠাবান লোক খুঁজে বের করে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। কোচিং ব্যবস্থাও দায়ী। এটা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।”