তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দ্রুত পরিশোধ করতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। সংগঠন দুটি বলেছে- ‘‘শ্রমিক ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা নিয়ে এক অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার ব্যবস্থা করুন। একসঙ্গে সমবেত না করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপে ভাগ করে এবং সময় ভাগ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেতন পরিশোধ করুন’’।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি- (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি- (বিকেএমইএ) এক যৌথ ঘোষণায় কথা বলা হয়। সংগঠন দুটি বলেছে- ‘‘পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দ্রুত প্রদানের জন্য ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিনীত অনুরোধ করছি। শ্রমিকের বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে সহজ শর্তে সহযোগিতা করুন। অনেক স্থানে লকডাউন থাকলেও শ্রমিকদের বেতনের টাকা দেয়ার জন্য ২ থেকে ৩ দিন কয়েক ঘণ্টা ব্যাংক খোলা রেখে বেতনের টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করুন’’।
পোশাক শিল্পের মালিকদের উদ্দেশ্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ বলেছে, ‘‘আপনারা যারা এখনও মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেননি যে কোনো পরিস্থিতিতে পরিশোধ করার ব্যবস্থা করুন। এক সঙ্গে সমবেত না করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রুপে ভাগ করে এবং সময় ভাগ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেতন পরিশোধ করুন। যারা এখনও শ্রমিকদের ব্যাংক বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট করতে পারেননি, তারা অতিদ্রুত তা সম্পন্ন করুন’’।
এমএফএস প্রতিষ্ঠান সমূহ ‘নগদ’, ‘রকেট’, ‘বিকাশ’ অ্যাকাউন্ট করার জন্য সর্ব প্রকার সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে বিজিএমইএ-বিকেএমইএ’র সহযোগিতা নিন। শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হলে সরকারের দেয়া ঋণ সুবিধা পেতে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা পাবেন।