পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর পাথর উত্তোলন এবং পাচারের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৫ মে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ. এস. এম এমরান-এর আদালত এই আদেশ দেন। আদেশে রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জকে আগামী ১২ মে’র মধ্যে পাথর উত্তোলন ও পাচারের ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫ মে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘পাথর ভাঙ্গার শব্দ কানে পৌঁছায়নি প্রশাসনের’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার আলেক্ষ্যং থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন ঝিরি-ঝরনা ও ছড়ার প্রাকৃতিক পাথর তুলে পাচারকারীরা অবাধে পাচার করছেন। সড়কের ধারে পাথরের বিশাল মজুতও গড়ে তুলছেন তাঁরা। ওই এলাকায় স্টোন ক্রাশিং মেশিনে (পাথর ভাঙার যন্ত্র) প্রকাশ্যেই পাথর ভাঙা হয়। মেশিনের শব্দ এলাকার লোকজন শুনলেও প্রশাসনের কানে পৌঁছায়নি। দুই মাস আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জব্দ করা পাথরও পাচারকারীরা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।’
প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এলে একই দিন ৫ মে বান্দরবানের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে এই তদন্তের আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের বিভিন্ন দুর্গম এলাকা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে সেইসব এলাকায় পানির উৎসগুলো মরে যাচ্ছে। গ্রামগুলোতে দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তায় পাথর পাচার অব্যাহত রেখেছে।