প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত এখন গোটা বিশ্বের মানুষ। এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় নানা সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এরই মাঝে কেউ কেউ আবার বিভ্রান্তিরকর তথ্যও ছড়াচ্ছেন। কাগজ থেকে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে, এমন অনুমানে কিংবা বিভ্রান্তির শিকার হয়ে অনেকে আবার পত্রিকা পড়া থেকে বিরত থাকছেন।
প্রকৃতপক্ষে এ অনুমানের কোনো গবেষণালব্ধ ভিত্তি নেই। এ প্রসঙ্গে ইউজিসি অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেছেন, পত্র-পত্রিকা আমরা পড়তে পারি। এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না। সুতরাং পত্রিকা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন তাদের গবেষণায় দেখেছে, করোনা ভাইরাস বাতাসে বেঁচে থাকে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা, কার্ডবোর্ডে এক দিন এবং প্লাস্টিক ও স্টেইনলেস স্টিলে দুই থেকে তিন দিন। কিন্তু নানা ধরনের করোনা ভাইরাস নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণারত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্যারোলাইন ম্যাখামার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বলেছেন, নানা বস্তুতলে যে ভাইরাস টিকে থাকে কথাটা শুনতে ভীতিকর শোনালেও সেখানে তারা টিকে থাকতে পারে অত্যন্ত কম, মাত্র এক হাজার ভাগের এক ভাগ (০.১%)। বস্তুতল থেকে এ ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা প্রায় নেই। তবে কাগজে করোনা ভাইরাস টিকে থাকার কোনো তথ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পাওয়া যায়নি।
করোনা ভাইরাস সংক্রমিত এলাকা থেকে আসা কোনো মোড়ক গ্রহণ করা নিরাপদ কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্য দূষিত হওয়ার আশঙ্কা কম। বিবিধ তাপমাত্রায় বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা পণ্যবাহী মোড়ক থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিও যৎসামান্য।
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলেছে, কাগুজে পত্রিকার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ানোর শঙ্কা নেই।