রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলন এক সপ্তাহ ধরে চলছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যানবাহনের লাইসেন্স যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে তারা।
এতে রাস্তায় বাস বন্ধ করে দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। ফলে দেশব্যাপী অঘোষিত বাস ধর্মঘট চলছে। দিনে বাস বন্ধ থাকলেও নাইট কোচগুলো গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছাড়া হতো। তবে চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাস মালিকরা। এমনকি নাইট কোচ চলাচলও বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নিরাপত্তার অযুহাত দেখিয়ে শুক্রবার (০৩ আগস্ট) থেকেই দেশের বিভিন্ন রুটে দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। তবে অনেক জেলা থেকে শনিবার রাতে নাইট কোচ ছাড়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্তের ফলে রবিবার রাত থেকে দূরপাল্লার আর কোনো গাড়ি চলবে না।
গত রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের হোটেল র্যাডিসনের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় নির্মমভাবে প্রাণ হারান শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম সজীব। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। তারা সবাই ফুটপাথে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরপর থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এর প্রেক্ষিতে বাস মালিকরা বাস বন্ধ করে দিলে দেশব্যাপী অঘোষিত বাস ধর্মঘট শুরু হয়। যানবাহন সংকটে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এমনকি দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় ঢাকার সাথে সারা দেশের যোগাযোগ আপাতদৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে দূরযাত্রায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।