মুফিজুর রহমান, নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান ।। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে গত ২০ জানুয়ারী অপহৃত ৪ তামাক চাষীকে চারদিনেও উদ্ধার করা যায়নি। উপজেলার দৌছড়ি ও বাইশারী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা লেদু বুড়ির চরের খামারবাড়ী থেকে রামু উপজেলার গর্জনীয়ার আব্দুল আজিজ, আব্দুর রহিম, শাহ আলম ও আবু ছৈয়দ কে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: আজগর আলী মুঠোফোনে জানান, অপহরনের একদিন পর অপহৃতদের মোবাইল ফোন থেকে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ৮ লাখ টাকা মুক্তিপনের জন্য চাঁদা দাবী করে আসছিল সন্ত্রাসীরা।
এদিকে মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় এখনো পর্যন্ত তারা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত হতে পারেনি বলে জানান অপহৃত আব্দুল আজিজের পিতা নুরুল আলম।
অপহৃত অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা জানান, সময়মত টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তাদের হত্যা করা হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় অপহৃতদের সবার পরিবারই রয়েছে চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়।
অপহরণের বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর শেখ বলেন, অপহরণের পর থেকে দুর্গম পাহাড়ে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরো বলেন, অপহৃতদের উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত দুই মাস আগেও একই ইউনিয়নের ছাগল খাইয়া থেকে তিন কৃষককে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে নিজ বাড়ী থেকে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ নয়দিন পর মুক্তিপনের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এছাড়া বিগত দিনে একই ইউনিয়ন থেকে দুই ডজনের অধিক লোকজনকে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। এ পর্যন্ত কাউকে মুক্তিপণ ছাড়া উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার।