সারা বছর পাওয়া যায় এমন একটি ফল হলো কলা। এতে থাকা পটাসিয়াম, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরে জন্য দারুণ উপকারী। অনেকেই সকালের নাস্তায় কলা খান। কেউ কেউ আবার দিনের অন্য সময় কলা খান। তবে বিশেষজ্ঞরা সকালেই কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সকালের নাস্তায় ডিম, টোস্ট কিংবা কর্নফ্লেক্সের সঙ্গে অনেকেই কলা খান। এতে যেমন পেট ভরা থাকে তেমন পুষ্টিও পাওয়া যায়। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তারা অবশ্যই সকালের নাস্তায় কলা খাবেন। হজমের সমস্যা থাকলেও কলা খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কলা সবসময় হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে খেতে হবে। পিনাট বাটার, ইয়োগার্ট কিংবা পরিজের সঙ্গে কলা খেতে পারেন। সকালে কলা খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি হয়। তবে খালি পেটে কলা খাওয়া ঠিক নয়। কলা খাওয়ার আগে একমুঠো শুকনো মুড়ি কিংবা দুটো বিস্কুট খেতে পারেন। কলাতে ২৫ শতাংশ প্রাকৃতিক সুগার থাকে। আর যে কারণে খালি পেটে কলা খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। সকালের নাস্তা আর দুপুরের খাবারের মাঝখানে অনেক গ্যাপ থাকে। সেই গ্যাপটা পূরণ করে দেয় কলা। কারণ কলায় থাকা ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম শরীরের প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে। সকালে কলা খেলে আরো যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে : অনেকেই মনে করেন, কলা খেলে ওজন বাড়ে। আর তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকা থেকে অনেকেই কলা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু কলা খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। রক্তচাপ ঠিক রাখা থেকে শুরু করে হৃদরোগের সমস্যা সবই দূরে রাখে কলা। এছাড়াও পাকা হলুদ কলায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি শরীরের নানা উপকার করে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে : পেট পরিষ্কার না হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। এ কারণে সকালে উঠেই যাতে পেট পরিষ্কার হয় সেই দিকে খেয়াল রাখা উচিত। যাদের আলসারের মতো সমস্যা রয়েছে, যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাদের নিয়ম করে প্রতিদিন একটা কলা খাওয়া উচিত।
পানির চাহিদা পূরণে কলা: আগের রাতে বেশি তেল মসলাদার খাবার খাওয়া হলে পরের দিনও তার একটা প্রভাব থেকে যায়। কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া কলা, মধু দিয়ে তৈরি স্মুদি স্নায়ুর উত্তেজনা কমায়। এ কারণে সুস্থ থাকতে কলার স্মুদি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।