দিওয়ালি উৎবের কারণে সৃষ্ট বায়ুদূষণ মোকাবেলায় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এই জরুরি অবস্থা জারি করেছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ভারতে দিওয়ালি উৎসব শুরুর পর থেকেই দিল্লিসহ বিভিন্ন স্থানে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে।
আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) পর্যন্ত দিল্লির সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের বাসার বাইরে বের না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের ভবন নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ‘দিল্লি এখন একটি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে’ গতকাল শুক্রবার এমন মন্তব্য করেন কেজরিওয়াল। শুক্রবার বায়ুদূষণ থেকে বাঁচতে রাজধানীর কয়েকটি স্কুলে মাস্ক বিতরণকালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমরা ক্যাপ্টেন আঙ্কেল ও খাট্টার আঙ্কেলের কাছে চিঠি লিখতে পারো। বলতে পারো, “দয়া করে আমাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে ভাবুন।”’ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলোতে সরকারি উদ্যোগে ৫০ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
এর আগে গত বুধবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর দিল্লির দূষণের জন্য তার প্রশাসনের দায়কে উড়িয়ে দিয়েছেন। কেজরিওয়ালকে ‘মিথ্যাবাদী’ উল্লেখ করে এই কংগ্রেস নেতা বলেছেন, পাঁচ বছরেও রাজধানীর দূষণ দূর করতে না পেরে আম আদমি পার্টির নেতা এখন এ নিয়ে রাজনৈতিক চাল চালছেন।
যানবাহন ও কারখানার ধোঁয়ার পাশাপাশি আশপাশের ধানক্ষেতগুলোতে ফসলের নাড়া পোড়াতে কৃষকের দেওয়া আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়ায় ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির বাতাস অক্টোবরেই ‘অস্বাস্থ্যকর মাত্রায়’ পৌঁছেছিল। দূষণ ঠেকাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার নাড়া না পুড়িয়ে জমি পরিষ্কারের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার পরিকল্পনা নিলেও তা কার্যকর করা যায়নি। কৃষকরা বলছেন, সরকারি ভর্তুকির পরও ওই ধরনের যন্ত্রপাতির দাম এত যে তাদের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হয়ে উঠছে না।