তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী অধ্যাপক ড. নোমান কুরতুলমুজের সঙ্গে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দীকী সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল (১৫ জানুয়ারি) সোমবার নোমান কুরতুলমুজের সরকারি কার্যালয়ে তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কুরতুলমুজ ইতিপূর্বে বাংলাদেশ-তুরস্ক যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) চেয়ারের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, তুরস্কের সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী খাত হচ্ছে পর্যটন। নোমান কুরতুলমুজ প্রায় আট মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় দুই পক্ষ বাংলাদেশ ও তুরস্ক ভ্রাতৃপ্রতিম দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং পর্যটন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও অর্জনের প্রবহমান চিত্র তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন দীর্ঘদিনের এবং এ সম্পর্ক দিন দিন আরও শক্তিশালী হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের বাংলাদেশ সফরসহ সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মাঝে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ে বিভিন্ন সফরের কথা উল্লেখ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী এপ্রিলে (২০১৮) দুই দেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনাকালে তুর্কি সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী ঢাকায় ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য আগামী įইসলামী সংস্থার সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশগ্রহণের আশা প্রকাশ করেন। আগামী ২৬-২৮ জানুয়ারি (২০১৮) ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ įভ্রমণ এবং পর্যটন মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত তুরস্কের মন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ ছাড়া, আঙ্কারার গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থানে įশহীদ মিনার স্থাপনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী সংস্কৃতি এবং পর্যটন বিকাশে বাংলাদেশের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং তিনি একমত হন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন জোরালো করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।