সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের নিঃসন্তান মুক্তিযোদ্ধা নুর মিয়া। অথচ, তাকেই বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা গ্রহণ করে আসছে হালিমা আক্তার।
জানা যায়, নূর মিয়া নিঃসন্তান অবস্থায় ১৯৮৪ সালে মারা গেলে স্ত্রী সাফিয়া বেগম দেবর আবুল হোসেনকে বিয়ে করেন। এবং সে ঘরেই ৮ সন্তানের মধ্যে ২য় মেয়ে হালিমা আক্তার। যার জন্ম ১৯৮৭ সালে। কিন্তু ,আবুল হোসেন মেয়ে হালিমাকে দিয়ে মৃত মুক্তিযোদ্ধা নূর মিয়ার সন্তান পরিচয়ে ভাতা গ্রহণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে। হালিমা আক্তারের জাতীয় পরিচয় পত্রে, স্কুলের খাতায় এবং বিয়ের কাবিননামায় পিতার নাম পরিবর্তনেরও চেষ্টা করছে তারা।
এমন অভিযোগ তুলেছেন মৃত মুক্তিযোদ্ধার বড় ভাই মিয়া হোসেন। তিনি জানান, কি উপায়ে ভূয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে কাগজ তৈরি করে ভাতা উত্তোলন করা হল, আর কি ভাবেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাগজপত্রে স্বাক্ষর করলেন?
উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে হাজির হবার জন্য অভিযুক্তদের প্রথমে ১০দিন সময় দেওয়া হয়। পরে তারা আবারও এক মাস সময় চেয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর আবারও সময় চেয়ে অনুরোধ করলে তাদের সময় দেওয়া হয়েছে। যাকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উল্লেখ করা হয়েছে, আমাদের প্রথমিক তদন্তে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ১ জুলাই ভূয়া পরিচয়ে বরাদ্দকৃত সম্মানী ভাতা বাতিল করার জন্য তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মৃত মুক্তিযোদ্ধার বড় ভাই মিয়া হোসেন।