পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ৫৭ ধারায় মামলা হলে তদন্ত ছাড়া কোনো সাংবাদিককে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হবে না। গতকাল শনিবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রথম সুপারিশ করেছি এবং কাজ করেছি। দেশের বহু জেলা থেকে ৫৭ ধারায় অনেক মামলাসহ অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। সেগুলো আমি দেখেই এই নির্দেশনা দিয়েছি। তবে দু-একটি অভিযোগ আমরা তদন্ত করে প্রমাণ পাওয়ায় সেগুলোর ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলি।’
চাঁদপুরের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের বিষয়ে শহীদুল হক বলেন, ‘চাঁদপুরের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক আছে। কারণ, পুলিশ সুপার হিসেবে আমি প্রথম এ জেলায় তিন বছর কাজ করেছি। এ জেলাকে আমি সব সময় আমার সেকেন্ড হোম মনে করি। এখানকার সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা সব সময় পুলিশসহ প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।’
পুলিশ-সাংবাদিক সম্পর্ক নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘আমি যে বইটি লিখেছি, সেখানে সাংবাদিক ও পুলিশের সম্পর্ক কেমন, তা তুলে ধরেছি। সেই ধারণাটা পড়লে সাংবাদিকেরা অনেক কিছু বুঝতে পারবেন। সমাজে কাজ করতে হলে সাংবাদিক ও পুলিশ সুসম্পর্ক থাকতে হয়। আমার কাছে প্রতিদিন বাংলাদেশের বহু পত্রিকা আসে। সেখানে আপনারা যেসব বিষয় তুলে ধরেন, সেগুলোর মাধ্যমেও আমি খুঁজে খুঁজে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং এতে ফলাফলও আসে।’
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরীফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির উজ-জামান, ডিআইজি (প্রশাসন ও শৃঙ্খলা) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, আইজিপির স্টাফ অফিসার আক্তার হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। মতবিনিময় সভায় স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক, জাতীয় গণমাধ্যমের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইজিপি চাঁদপুর প্রেসক্লাবকে পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
কৃতজ্ঞতা- দৈনিক প্রথম আলো