রোহিঙ্গাদের তাড়ানোর ঘটনা তদন্তের অধিকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নেই বলে দাবি করেছে মিয়ানমার। শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে দেশটি জানায়, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তদন্তের যে উদ্যোগ আইসিসি নিয়েছে, তা তারা প্রত্যাখ্যান করছে।
এপির বরাত দিয়ে ইউএনবির খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট বলেছেন, বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) আইসিসির যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ ও সন্দেহজনক।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের হেগের আদালতের প্রাক্-বিচারিক শুনানি আদালত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের জোর করে তাদের পূর্বসূরিদের ভিটেমাটি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে তদন্ত করা হবে।
শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এই বিবৃতিতে মিয়ানমার বলে, ‘আইসিসি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে বাজে ধারণা, ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।’ এ ছাড়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের যে কথা বলে হচ্ছে, তা কোনা ভাবেই সত্য নয়।
মিয়ানমার ওই বিবৃতে আরও বলে, তারা পরিকল্পিতভাবে কোনো অঞ্চলের ওপর অভিযান চালায়নি। যারা বাংলাদেশে চলে গেছে, তাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মিয়ানমার।
শুক্রবার সকালে বিবৃতি জানানোর জন্য করা ওই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মিয়ানমার সরকারে মুখপাত্র জ এইচ থ। এ সময় তিনি কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের স্বাধীন সিদ্ধান্ত।
আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত
রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত শুরুর ব্যাপারে আইসিসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাংসদদের সংগঠন আসিয়ান পার্লামেন্টারিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর)। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।