নকল ভিডিও বানানোর প্রযুক্তি ডিপফেক দিয়ে নারীদের ভুয়া পর্ন ভিডিও বানিয়ে বিপাকে ফেলা হচ্ছে। জনপ্রিয় সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট দ্য হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে ২৮ বছর বয়সী কেট নামের এক নারীর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। অফিসে বসে এক সহকর্মী তার ‘অভিনীত’ একটি পর্ন ভিডিও দেখান, যেখানে প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু তার মুখটি ব্যবহার করা হয়েছে।
টেক্সাসে বসবাসকারী কেট সহকর্মীর কাছ থেকে ভিডিওর কথা জানতে পেরে কম্পিউটারে চোখ রাখেন। দেখতে পান, হুবহু তার মতো দেখতে এক নারী পুরুষ অভিনেতার সঙ্গে কথা বলছেন। একটু পর তারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
কেট সেদিন অফিসে বসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অন্য সহকর্মীরা গোটা ব্যাপারটি জেনে যায়। কিন্তু তিনি কাউকে বোঝাতে পারেননি ভিডিওটিতে শুধু তার মুখটা রয়েছে। বডি অন্য কারো।
সেই অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে কেট বলেন, ‘এটা ভয়ংকর ছিল। এসব কোনোদিন দেখিনি।’
কেট জানান ভিডিওটি এখনো অনলাইনে আছে।
ডিপফেক আসলে কী?
ডিপফেক বলতে নকল ভিডিও বা অডিওকে বোঝায়। আপাতদৃষ্টিতে তা দেখতে আসল মনে হলেও তা মোটেই আসল নয়। মেশিন লার্নিং ডিপফেক ভিডিও বানানোর প্রধান প্রযুক্তি। মেশিন লার্নিংয়ের একটি কৌশলের নাম ‘জেনারেল অ্যাডভারসেরিয়াল নেটওয়ার্ক’ (GAN)। এর মাধ্যমে প্রথমে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন অভিব্যক্তির শতশত ছবি সংগ্রহ করা হয়।
এরপর সেই ছবিগুলো মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে তার মুখের সব ধরনের অভিব্যক্তির একটি গঠন তৈরি করা হয়। এরপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে ব্যক্তির গলার আওয়াজও হুবহু নকল করা সম্ভব। এসব ভিডিও ও অডিও নানাভাবে প্রক্রিয়া করে এমন একটি নকল ভিডিও তৈরি করা হয় যা খালি চোখে শনাক্ত করা অনেক কঠিন।