ট্রাম্পের মতামত না মানায় মার্কিন নৌবাহিনী প্রধান বরখাস্ত

যুদ্ধবন্দিকে হত্যায় দোষী সাব্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের এক নেভি সিল কর্মকর্তার বিচার নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিমত করায় দেশটির নৌবাহিনী প্রধান রিচার্ড স্পেন্সারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এস্পার এই বহিষ্কারের নির্দেশ দেন। তবে বহিষ্কারের কারণ হিসেবে তিনি ভিন্ন কথা বলছেন বলে জানায় বিবিসি।

হত্যার পর যুদ্ধবন্দির লাশের সঙ্গে ছবি তোলার ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি হন নেভি সিল কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড গালেগার। এতে দোষী সাব্যস্ত হন ওই কর্মকর্তা।

নৌবাহিনী প্রধানকে বহিষ্কারের বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এস্পার বলেন, স্পেন্সারের ওপর তিনি আস্থা হারিয়েছেন। কারণ, তিনি হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যা বলেন প্রকাশ্যে তার বিপরীত অবস্থান নেন।

যদিও চিফ পেটি অফিসার গালেগারের বিচার এবং ‘মাত্রাতিরিক্ত সাজার’ বিষয়ে খুশি ছিলেন না ট্রাম্প। ধারণা করা হচ্ছে, এজন্যই স্পেন্সারকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, ইরাকে ২০১৭ সালে দায়িত্ব পালনকালে পেটি অফিসার গালেগার ইসলামিক স্টেট-আইএসের এক বন্দিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং বেসামরিক ইরাকিদের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত হন।

অবশ্য গালেগারকে অন্য সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে আইএসের বন্দি যোদ্ধার লাশের সঙ্গে ছবি তোলার দুর্বল ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এজন্য তার পদাবনতি হলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তা পুনর্বহাল করেন।

এরপর পেটি অফিসার গালেগারকে গত সপ্তাহে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, তাকে ডিসিপ্লিনারি রিভিউর মুখোমুখি হতে হবে। ফলে নৌবাহিনী থেকে বহিষ্কারে ঝুঁকিতে পড়েন তিনি।

তবে নৌবাহিনীর এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, একজন যোদ্ধার সদস্যপদ কেড়ে নিতে পারে না নৌবাহিনী।

প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষমা করে দিয়ে সামরিক বাহিনীর একটি অংশের সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

শেয়ার করুন