ইরাকে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসি ও আলজাজিরা জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন ও হোয়াইট হাউস।
এ ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও নিশ্চিত করেছে, শুক্রবার ভোরে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে হওয়া এক হামলায় মারা যাওয়া বেশ কয়েকজনের মধ্যে কাসেম সোলেইমানি রয়েছেন।
ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলায় ঘটনায় ইরানকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকির তিন দিনের মধ্যে সোলেইমানিকে হত্যা করল ওয়াশিংটন।
জেনারেল সোলেইমানিকে হত্যাকাণ্ডে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ।
মধ্যপ্রাচ্যে যাবতীয় রাজনৈতিক দুর্বৃত্তপনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডকে আল-কায়েদা, আইএস, আল-নুসরাহর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোর মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র চরম বিপজ্জনক ও বোকামিপূর্ণ অভিযান বলে মন্তব্য করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন হামলায় জেনারেল সোলেইমানিসহ আরও ছয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও রয়েছেন বলে জানায় ইরাকের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
আলজাজিরা জানায়, বিমানবন্দরে পৌঁছানো ‘হাই প্রোফাইল অতিথিদের’ বহনকারী দুটি গাড়ি রকেট হামলায় বিধ্বস্ত হয়। কঠোর নিরাপত্তা ও বিশেষ পাহারার মধ্যে ছিল গাড়ি দুটি।
ইরানি কুদস বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা ইরাক এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যতের জন্য ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ২৫ যোদ্ধা নিহত হওয়া এবং এর জের ধরে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে টানা দুদিনের বিক্ষোভের পর এ হামলার ঘটনা ঘটল।