বর্তমান বিশ্বে যে রোগগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ডায়াবেটিস। ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করলে বা উৎপাদন অনুপাতে রোগীর শরীরের ওজন বেশি হলে সাধারণত টাইপ-২ ডায়াবেটিস দেখা দেয়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে এবং এর থেকে দৃষ্টির সমস্যা, হৃদরোগ সমস্যা এবং অঙ্গহানির মতো নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হয়।
তবে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, উদ্ভিদভিত্তিক ডায়েট বা খাদ্যতালিকা অনুসরণ করে অগ্ন্যাশয়ের সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আর সেটি সম্ভব হলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে টাইপ-২ ডায়াবেটিস। সম্প্রতি ‘জামা ইন্টারন্যাল মেডিসিন জার্নালে’ প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফলাফল।
উদ্ভিদভিত্তিক এই ডায়েটে থাকতে পারে ফলমূল, শাক-সবজি, গোটা শস্যদানা, মটরশুঁটি এবং বাদামের মতো খাদ্য। অন্যদিকে চিনি, শ্বেতসার এবং পরিশোধিত শস্য পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
হার্ভার্ড টিএইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের পুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. কি সান বলেন, আমরা দেখেছি যে উদ্ভিদভিত্তিক ডায়েট বা খাদ্যতালিকায় টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি শতকরা ২৩ ভাগ কমে যায়।
আমরা আরো দেখেছি, যেসব মানুষ তাদের খাদ্যতালিকা থেকে চিনি, ভাতের মতো শ্বেতসার বাদ দিয়ে সেখানে তাজা ফলমূল, শাক-সবজি, গোটা শস্যদানা, মটরশুঁটি এবং বাদাম নিয়মিত খান তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি শতকরা ৩০ ভাগ কম। এই ফলাফল আমাদের গবেষণার জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিক।
কিংস কলেজ লন্ডনের পুষ্টিবিদ অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স জানান, নিরামিষভোজীদের খাদ্যতালিকায় সাধারণত এই ধরনের উদ্ভিদভিত্তিক খাবার থাকে। এর ফলে সেখানে উচ্চ চিনির মাত্রা কিংবা শর্করা থাকে না। ফলে তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস ঝুঁকি কম থাকে।—সিএনএন