প্রচ্ছদ অবাক পৃথিবী ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ নিয়ে স্বস্তি, কী জানালো নতুন গবেষণা?

‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ নিয়ে স্বস্তি, কী জানালো নতুন গবেষণা?

গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন। সভ্যতার কাছে এক চরম বিপদের নাম। এই বিষয়ে একাধিকবার সাবধান করছেন পরিবেশবিদরা। তবে সে সব প্রচারে কাজ হয়নি। পৃথিবীর উষ্ণতা দিনে দিনে বাড়ছে। এর ফল ভুগতে হবে সভ্যতাকে, এমনটাই জানা আছে সবার। কিন্তু এবার শোনা গেল একদম অন্য কথা।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক গেরনট ওয়াগনার জানিয়েছেন, এক বিশেষ কৌশলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণায়নের এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ তাপ কমানো যাবে বলে তার দাবি।

জানা যাচ্ছে, মোটামুটি ভূমি থেকে ২০ কিমি উপরে অবস্থিত বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে এসএআই (স্ট্র্যাটোসফেরিক এয়ারোসোল ইনজেকশন) পদ্ধতির সাহায্যে সালফাইট প্রয়োগ করলে তা সূর্যালোকের অনেকটা অংশকে আবার মহাশূন্যে ফিরিয়ে দিয়ে পৃথিবীর তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

ওই গবেষকের প্রস্তাব, উঁচুতে উড়তে পারবে এমন বিমানে করে ওই সালফাইট ছড়ানোর কাজ করা যেতে পারে। তার মতে, যদি বেশ কয়েকটি দেশ মিলে এ ব্যাপারে অর্থ ব্যয় করে, তাহলে ব্যাপারটা বাস্তবায়িত হতেই পারে।

কিন্তু তার এই মতের সঙ্গে একমত নন ইয়েল কলেজের অধ্যাপক ওয়েক স্মিথ। তিনি জানাচ্ছেন, ওই কাজ করতে গেলে যেমন বিমান লাগবে তেমনটা এখনও বানানো সম্ভব হয়নি। তার মতে, এটা ভাল প্রস্তাব ঠিক, কিন্তু এখনই এটা করা সম্ভব নয়। তার জন্য ওই উচ্চতায় উড়তে পারার মতো বিমান নির্মাণ করা আগে দরকার।

তবে ঠিকমতো গবেষণা চালিয়ে গেলে ও এখন থেকে চেষ্টা করলে ১৫ বছরের মধ্যেই এটা করা সম্ভব বলেই দাবি ওয়েকের। নিঃসন্দেহে আগামী ১৫ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পদ্ধতিকে কার্যকর করা হোক, এমনটা যে পৃথিবীর সকলেই চাইবেন তাতে সন্দেহ নেই।

শেয়ার করুন