খাগড়াছড়িতে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে টিআআইবি ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-এর সভায় বক্তারা জেলার বিভিন্ন খাতের ভয়াবহ অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের টিআইবি কার্যালয়ে আয়োজিত এই মত বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, সনাক-খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান।
‘গণমাধ্যম ব্যতীত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র অচল’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা ও করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’-খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডঃ সুধীন কুমার চাকমা, সনাক-এর সহ-সভাপতি প্রফেসর মধুমঙ্গল চাকমা, খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি জীতেন বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে)-এর সভাপতি সাংবাদিক নুরুল আজম ও সনাকের খাগড়ছড়ি এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার দুর্লভ চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি সনাক সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ জহুরুল আলম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য সাংবাদিক চিংমেপ্রু মারমা।
সভায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সভাপতি অভিযোগ করেন, প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ‘স্লিপ প্রকল্প’-এর সরকারের বরাদ্দ দেয়া ৪০ হাজার টাকা ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকরা আত্মসাত করছেন। বায়োমেট্রিক মেশিন কেনার নামে ডিপিইও অফিসের যোগসাজশে এই অপকর্ম চলছে। প্রধান শিক্ষকরা নিয়ম বর্হিভুতভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছেন।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষক নিয়োগে ৭/৮ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য জেলার প্রাথমিক শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা বলেন, জেলার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরিজীবিরা ট্রেজারি অফিসের হাতে জিম্মি। টাকা ছাড়া কোন কাজ হচ্ছে না। জীবন সায়হ্নে অসুস্থতাজনিত কারণে বিদেশে যাবার পাসপোর্ট করতে গেলে পদে পদে টাকা দাবি করা হচ্ছে। একজন সরকারি চাকুরিজীবির শেষ জীবনে এটি চরম অপ্রত্যাশিত এবং বেদনাদায়ক।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ ও সমাজ গঠনে টিআইবি কাজ করে যাচ্ছে। দুর্নীতির ধারনা সূচক প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির অবস্থান নির্ণয় ও দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে সনাক। এসময় বক্তারা টিআইবির কাজের স্বচ্ছতার কথাও তুলে ধরেন।