খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় মাধবী রাণী রায় পিঙ্কিকে হত্যা মামলার আসামী ছাত্রলীগ সভাপতি সাগর চৌধুরী গুইমারা থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাগর থানায় এসে ধরা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহম্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাগর চৌধুরী থানায় এসে আত্মসর্মপণ করেছেন। গত শনিবার তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। নিহত পিঙ্কি ফেনীর ফুলগাজী নতুন মনসির হাট সতেসপুরের স্বপন কুমার রায়ের মেয়ে।
এ ঘটনায় পর দিন নিহতের মা বাদী হয়ে গুইমারায় থানায় গুইমারা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাগর চৌধুরীকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে ছাত্রলীগ সভাপতি সাগর চৌধুরী পলাতক থাকার ছয় দিন পর নিজে পুলিশের কাছে ধরা দেন। তিনি গুইমারা দার্জিলিং টিলার নিরঞ্জন চৌধুরীর ছেলে।
জানা যায়, শনিবার বিকেলে গুইমারার দার্জিলিং টিলা এলাকায় সাগর চৌধুরীর বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় পিঙ্কিকে বেধড়ক মারধর করেন সাগর। পরে পিঙ্কিকে মাটিরাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত পিঙ্কির শরীরের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক।
প্রসঙ্গতঃ ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি চলছিল আসছিল। এক পর্যায়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের উপক্রম হলেও তা সামাজিক ভাবে মীমাংসা করে গত কয়েক মাস আগে গুইমারায় ফিরিয়ে আনেন সাগর।
-খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি