খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল চুরির হিড়িক পড়েছে। আলাদা আলাদা দুটি ঘটনায় একই দিন জব্দ হয়েছে ১৮৬ বস্তা চাল। এ নিয়ে জেলাব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় জড়িত ১ ব্যাক্তি আটক হলেও পলাতক রয়েছে মূল হোতারা।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা তাইন্দং ইউনিয়নের ইউপি সদস্যের গুদাম থেকে ১৫৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় মাটিরাঙার তাইন্দং বাজারের অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ।
তাইন্দং ইানিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন তার ভাড়া গুদামে সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল রেখেছে বলে স্থানীয়রা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্যের গুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ১৫৮ টি বস্তা জব্দ করা হয়। ঐ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন ।
মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ জানান,‘ স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা জালাল উদ্দিনের গুদামে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় তার গুদাম থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫৮ বস্তা চাল জব্দ করি। সরকারি চাল মজুদের অভিযোগে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
৮ বস্তা চালসহ আটক ১: এদিকে-মাটিরাঙায় কালো বাজারে বিক্রি হওয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৮ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেছে স্থানীয়রা। রোববার সকালে উপজেলা গোমতি ইউনিয়নের বলিচন্দ্র কারবারি পাড়ায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে সরকারের বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি ওজনের ২৮ টি বস্তা উদ্ধার করে স্থানীয় জনগণ। সরকারি চাল গোপনে চুরি হওয়ার খবর পেয়ে তা উদ্ধার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে আহম্মেদ সালেহ নামে এক তরুণ।
জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা মূল্যে চাল বিক্রির সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্ত সেই চাল বিতরণ না করে চালের ডিলার মোমিন ২৮ বস্তা চাল স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে স্থানীয়রা ঐ ক্রেতার বাড়িতে গিয়ে প্রায় ৮৪০ কেজি চাল জব্দ করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ২৮ বস্তা চাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এই ঘটনায় চাল ক্রেতা মো. হাশেমকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ডিলার মোমিন মিয়া পলাতক রয়েছে।
মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভীষণ কান্তি দাশ জানান,‘ আমরা স্থানীয়দের মাধ্যমে চাল জব্দের খবর পেয়ে ২৮ বস্তা চাল উদ্ধার করেছি। এই ঘটনায় ডিলার এবং ক্রেতার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা জারি হবে । এছাড়া এখানে যে অফিসারকে সংযুক্ত করা হয়েছে তার কোন গাফিলতি আছে।