ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীরে যেতে বাধা দিয়েছে দেশটির সরকার। শনিবার ১১ জন বিরোধী নেতাকে নিয়ে রাহুল অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গেলে তাদেরকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয় বলে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে।
সরকারি নিষেধ উপেক্ষা করে রাহুল তার সহযাত্রীদের নিয়ে শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর রওনা হওয়ার ঘোষণা দেন। তবে রাহুলের দলকে শ্রীনগরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া নিয়ে তখনই গণমাধ্যমগুলো সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। কারণ, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক নেতাকে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এছাড়া উপত্যকায় উত্তেজনা ছড়াবে এমন দাবি করে বিমানবন্দর থেকেই রাহুলসহ অন্য নেতাদের ফিরিয়ে দেয়া হবে বলে আগেই হুঁশিয়ার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
রাহুল শনিবার বিকেলে কাশ্মীরের শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে দিল্লি বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। তার সফরসঙ্গী ছিলেন কংগ্রেসের অন্যতম নেতা গুলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মা। এছাড়াও সিপিআই-এম এর সীতারাম ইয়েচুরী, সিপিআই এর ডি রাজা, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, আরজেডি-র মনোজ ঝাঁ, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী।
কেন্দ্রীয় সরকারের এমন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাহুল তার দল নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর রওনা দেয়ার ঘোষণা দেন। পরে শনিবার দুপুরের পর কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছলে দলসহ রাহুল গান্ধীকে কোথাও যেতে না দিয়ে বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয়।
রাহুল যখন কাশ্মীর সফরে যাওয়ার ঘোষণা দেন তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল তাকে সেখানে যেতে অনুমতি দেবে না মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। কেননা কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিলের পর কোনো রাজনৈতিক নেতা অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে সফরে যেতে পারেনি।
শুক্রবার রাতেই বিরোধ দলীয় নেতাদের উপত্যকায় সফরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সরকার দাবি করে, এ সফরের কারণে কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিতসহ উপত্যকার একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা ব্যাহত হতে পারে। তাই সফর বাতিল করার অনুরোধ করা হয়েছিল।
কিন্তু কেন্দ্রের আপত্তি আমলে নেয়নি রাহুলের নেতৃত্বাধীন ১১ বিরোধী নেতা। তখনই আশঙ্কা করা হচ্ছিল সরকার এ সফর ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপও নিতে পারে। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরকে প্রায় এক ঘরে আর অবরুদ্ধ করে রেখেছে মোদি সরকার। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে