পিসিআর টেস্ট করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সনাক্ত করতে পারে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির গুরুতর নিউমোনিয়া হতে পারে। অনেকের তেমন উপসর্গ নাও থাকতে পারে। কেউ সংক্রমিত কি না তা নির্ণয়ের একমাত্র উপায় হল করোনাভাইরাসের জন্য টেস্ট করা।
স্বাস্থ্য পেশাজীবীরা রোগীর নাক আর গলা থেকে সুয়াব সংগ্রহ করেন বা জলীয় পদার্থ নেন। নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। তরল পদার্থ থেকে ভাইরাসের জিনেটিক বস্তু নিষ্কাশিত করা হয় আর শ্লেষ্মা এবং কোষ বর্জ্য থেকে বিশুদ্ধকরণ করা হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জা টেস্ট থেকে করোনা টেস্ট ভিন্নতর। এই টেস্ট করা হয় পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) কৌশলের মাধ্যমে।
পিসিআর ভাইরাসের অনুক্ষুদ্র জেনেটিক পদার্থ শনাক্ত করতে পারে। পিসিআর ধাপগুলো সম্পন্ন করতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা। তবে টেস্ট পুরাপুরি সম্পন্ন করতে ৩ ঘণ্টাও লাগতে পারে।
এই টেস্ট বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান আর বেসরকারি ল্যাব করে থাকে। পিসিআর টেস্টের সুবিধা হল এতে আগে ভাগে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়। এমনকি সংক্রমিত হওয়ার ২ দিনের মধ্যে এই পর্যায়ে ভাইরাসের দ্রুত পুনঃজনন হতে থাকে। কিন্তু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোন উপসর্গ সৃষ্টি করে না। এই সময় হল সবচেয়ে ছোঁয়াচে।
ডাক্তাররা এই টেস্ট চেম্বারে করতে পারেন না। অনেকে দ্রুত ইনফ্লুয়েঞ্জা টেস্ট করেন। সেসব ফ্লু টেস্টে পিসিআর প্রয়োজন হয় না। পিসিআর পরীক্ষা করতে হয় কড়া মান নিয়ন্ত্রণ আর মান নিশ্চয়তা বিধান করে। তাই সব ল্যাবে এই টেস্ট করা ঠিক না। দক্ষ টেকনিশিয়ান আর যথাযথ যন্ত্রপাতি প্রয়োজন আর চাই দূষণ রোধে পরিচ্ছন্ন টেস্ট পরিবেশ।