খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা বাজারের বাস টার্মিনাল এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলায় ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রামগড় বাজার। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবী উভয় পক্ষের।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া পায়ে হেঁটে কবরস্থান এলাকা থেকে বাজারের বাস টার্মিনাল এলাকায় পৌছলে রামগড় উপজেলা ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়লে ওয়াদুদ ভূইয়া নিজেদের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আনুরোধ জানান।
এক পর্যায়ে কাঁচের বোতল, ইট-পাটকেল,লাঠি-সোঁটা নিয়ে বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রামগড় বাজার এলাকা। এ সময় পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। পরে বিজিবি সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসন সরকার দলীয় ক্যাডারদের পক্ষ নিয়ে তাদের নেতৃত্বে হামলা চালায়। এতে বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠি চার্জ করলেও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীদের নিবৃত করতে কোন ভূমিকাই রাখেনি পুলিশ।
হামলার ঘটনার খাগড়াছড়ি জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসির সিকদার,খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক বাপ্পী দাশ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পারভেজ,প্রচার সম্পাদক রিকু ত্রিপুরা, হাফছড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছা সেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন, হাফছড়ি ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো: সাদ্দাম ও উৎপল সরকার বাবু,ইমরান হোসেনসহ ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়। অপরদিকে হামলার দায় অস্বীকার করেছে আওয়ামীলীগ।
রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আ:হান্নান বলেন, ওয়াদুদ ভূইয়ার গণসংযোগ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন।