১২ জুন সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হতে যাওয়া বৈঠককে কেন্দ্র করে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে তিন সেনা কর্মকর্তাকে রদবদল করা হয়েছে। ঘটনাটিকে ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক ও সামরিক সংস্থার রূপান্তরের অংশ বলে মনে করছে সিএনএন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়নহাপ জানিয়েছে, প্রতিরক্ষাপ্রধান পাক ইয়ং শিকের স্থলে তিন তারকা বিশিষ্ট জেনারেল ও পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য নো কোয়াং চোলকে, কোরিয়ান পিপলস আর্মির (কেপিএ) প্রধান রি মিয়ং সুর স্থলে তাঁর ডেপুটি রি ইয়ং গিলকে এবং কেপিএর জেনারেল পলিটিক্যাল ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে কিম জং গেককে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। আগে এ পদে ছিলেন আর্মি জেনারেল কিম সু গিল।
উত্তর কোরিয়া লিডারশিপ ওয়াচ ডগ ব্লগের লেখক মাইকেল মাদেন বলেন, নতুন তিনজনই কিম জং-উনের শীর্ষ কর্মকর্তা। তাঁরা তাঁর প্রতি খুবই অনুগত। বিদেশি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তাঁদের আলাপচারিতার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
যাঁদের সরানো হলো পাক, রি ও কিমের বয়স যথাক্রমে ৬৮, ৮১ ও ৭৭ বছর।
মাদেন মনে করেন, অনেক কারণেই এই রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে মূলত কিম ট্রাম্পের বৈঠক ও ভবিষ্যতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা ও বিনিময়ের প্রস্তুতির বিষয়টি রয়েছে।
বিশেষ করে, সেনাবাহিনীর জেনারেল পলিটিক্যাল ব্যুরোর (জিপিবি) দায়িত্ব হলো কেপিএর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তদারক ও নিরীক্ষা করা। কেপিএ এমন অনেক বড় সংখ্যক বাণিজ্যিক সংস্থা ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যেগুলো ভবিষ্যতে আন্তঃকোরিয়া বাণিজ্য অথবা অবকাঠামোগত প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে।
কেপিএর সর্বত্র ব্যুরোর অধীন রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের বসানো আছে। তাঁরা সর্বস্তরে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
‘কিম চাইবেন না এই সেনাপ্রতিনিধিরা উত্তর কোরিয়ায় আসা এসব সহায়তা লোপাট করুক,’ মাদেন বলেন। ‘রবিকরোজ্জ্বল পর্বে এ সমস্যা ছিল, তখন অনেক তছরুপও অপকর্ম হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জিপিবির কাজের ধরন ও বিস্তার এত ব্যাপক, উত্তর কোরিয়ার অপর যেকোনো সংস্থার চেয়ে এটি কিমের ক্ষমতার জন্য সত্যিকারের হুমকি হয়ে উঠতে পারে।