ইমরান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের নতুন সরকার গঠন করার পর তাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ খোঁজার পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির অগ্রগতির চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র। আজ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চূড়ান্তভাবে ফল ঘোষণার পাশাপাশি পর্যবেক্ষক মিশনের প্রাথমিক তথ্য প্রকাশের অপেক্ষায় আছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফলাফল নিজের পক্ষে আনতে নির্বাচনের কারচুপির ব্যাপক অভিযোগ সত্ত্বেও এরই মধ্যে রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে নিজের দলকে বিজয়ী দাবি করেছেন তিনি। জাতীয় পরিষদের আসন দখলের দিক থেকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ইমরান খানের পিটিআই। এখন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অপেক্ষা।
ফার্স্টপোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ ফল অনুযায়ী পিটিআই পেয়েছে ১০৫টি আসন।
পিটিআইকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, নতুন সরকারের নেতৃত্বের সঙ্গে কাজের সুযোগ খুঁজবে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন ও গণমাধ্যমে স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাধার যেসব প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির সদস্য এলিয়ট অ্যাঙ্গেল পাকিস্তানের নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানের জনগণের জন্য আরেকটি সুযোগ নষ্ট হলো। তারপরও আমি সাহসের সঙ্গে ভোট দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ২০১৩ সালে দেশটিতে প্রথমবারে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের সফলতার কথা উল্লেখ করেন এলিয়ট।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক হাউস কমিটির এ সদস্য বলেন, নির্বাচনের আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকার যে অভিযোগ উঠেছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তবে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের সঙ্গে কাজ করা হবে। তবে গণতন্ত্রের পথে পাকিস্তানের সুযোগ নষ্টের বিষয়টি হতাশাজনক হিসেবেই দেখা হবে।