ইন্দোনেশিয়ার লমবক দ্বীপে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬ দশমিক ৯। পাশের বালি দ্বীপেও এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল দ্বীপের উত্তর উপকূলে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও দুই ঘণ্টা পর তা তুলে নেয়া হয়।
নয়নাভিরাম সৈকত ও হাইকিং ট্রেইলের জন্য লমবক পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। মাত্র এক সপ্তাহ আগে এ দ্বীপে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়।
এবারের ভূমিকম্পে দ্বীপের প্রধান শহর মাতরমের ভবনগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে শত শত মানুষ আহত হয়েছেন বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।
উদ্ধারকারী এক কর্মকর্তা জানান, বেশিরভাগ ক্ষতি হয়েছে লমবকের প্রধান শহর মাতারামে। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠে ঘরবাড়ি। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে হুড়মুড় করে ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
শহরের বিভিন্ন অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেয়া হয়।
সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে শানমুগাম বর্তমানে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে লমবকে আছেন। ভূমিকম্পের পর ফেসবুকে লেখেন, তিনি হোটেলের দশম তলার একটি কক্ষে থাকছেন। ভূমিকম্পে পুরো ভবন প্রচণ্ড কেঁপে ওঠে। দেয়ালে ফাটল ধরে। দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না।
দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, সুনামির সতর্কতা সরিয়ে নেয়া হলেও দুটি গ্রামে সাগরের পানি ঢুকে পড়েছে।
দুই বছর আগেও ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়, ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারান।
২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে ৯ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
এতে প্রলয়ঙ্করী সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলের কয়েকটি দেশে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার লোক নিহত হয়।
এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতেই প্রাণ হারান ১ লাখ ৬৮ হাজার জন।