রফিকুল আলম মামুন, বান্দরবান: লকডাউন করার দুই দিনের মাথায় আবারো উৎপাদনে গেছে বান্দরবানের একমাত্র রপ্তানিমুখী পোষাক কারখানা লুম্বিনী লিমিটেড।
এর আগে গত ২৫ মে সোমবার এক কর্মী করোনা পজেটিভ হওয়ায় জেলা প্রশাসন তাৎক্ষনিক কারখানাটি ৮ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করে সেখানে কর্মরত পাঁচশতাধিক কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নিদের্শনা দিয়েছিল। এর পর থেকে পুরো শহরে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু লকডাউন ঘোষনার দুই দিনের মাথায় কারখানা আবারো পুরোদমে চালুর খবরে জেলা শহরে উদ্বেগ আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানতে চাইলে লুম্বিনী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও জনসংযোগ ) মফিজুল ইসলাম মামুন বলেন, জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালু হয়েছে। তিনি বলেন, লুম্বিনী একটি শতভাগ রপ্তানিমুখী পোষাক কারখানা। চার থেকে পাঁচটি ধাপে এখানকার কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া হয়। এতে আতংকিত হবার কোন কারন নেই। এখানে দেশের স্বার্থ জড়িত আছে চাইলেই সবকিছু বন্ধ করার সুযোগ নেই।
এদিকে লুম্বিনী গামের্ন্টস বন্ধের খবরে শহরের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও দুইদিন পর চালুর খবরে আবারো আতংক ছড়ায়। অনেকেই গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে থেকে ফোনে জানতে চেয়েছেন প্রকৃত ঘটনা।
কিন্তু করোনা সনাক্তের পরও ঝুঁকির মধ্যে গামের্ন্টস কারখানা চালু কতটা যুক্তিযুক্ত জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডা.অংসুই প্রু বলেন, “কারখানা চালু হলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। উচ্চ সর্তকাবস্থা না মানলে করোনা এই কারখানার মাধ্যমেই দ্রুত ছড়াতে পারে। তবে এসব প্রশাসনের বিষয়। প্রশাসন চাইলে খুলে দিতে পারে।”
লুম্বিনী গামের্ন্টস কিভাবে খুলছে জানতে চাওয়া হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেনের কাছে। তিনি বলেছেন, সরকারী নির্দেশনা মেনে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা কর্মীদের আলাদা করে নমুনা পরীক্ষা করে কোয়ারেন্টিন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে লুম্বিনীকে। এছাড়াও সরকারী স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানার শর্তেই কারখানাটি আবারো চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমরা কারখানাটি পর্যবেক্ষনে রাখবো।
গত ২৫ মে কারখানাটির এক কর্মীর করোনা পজেটিভ এসেছিল। তিনি এখন চিকিৎসাধীন।