পাহাড়ি এলাকার ঝিরি-ঝর্না থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগে বান্দরবানের লামা উপজেলার দুই শিক্ষকসহ ৩৯ পাথর উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে থানায় দু’টি অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার বিকোলে পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান-এর পরিদর্শক নাজনীন সুলতানা নীপা বাদীয় হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর এলাকার ৯ জন ও কাঁঠালছড়া এলাকার ১৭ জন পাথর ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরো ১৩ জন ব্যবসায়ীকে বিবাদী করা হয় এ অভিযোগটিতে। এদের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারি শিক্ষক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বান্দরবানের বিভিন্ন ঝিরি-ঝর্না থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তবে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে একটি শক্তিশালী চক্র জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলা থেকে লক্ষ লক্ষ ঘনফুট পাথর চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা আসার আগেই গত কয়েক মাস ধরে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর বনপুর, গজালিয়া, ইয়াংছা ও সরই ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার পাহাড় ও ঝিরি-ঝর্না থেকে পাথর উত্তোলন করে আসছিল। চক্রটি ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লক্ষ ঘনফুট পাথর পাচার করেছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন। সর্বশেষ মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুন মাস জুড়ে আরো প্রায় ৫ লাখ ঘনফুট পাথর পাচারের জন্য মজুদ করে তারা। পরে পরিবেশ অধিদপ্তর পাথরগুলো জব্দ করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, থানায় দু’টি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।