সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের ছয় চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
৬ মে সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা নোটিশে তাঁদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মাশরাফিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন ভাষায় পোস্ট দেওয়া, মন্তব্য করা ও অশালীন পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
সংসদ সদস্য মাশরাফি গত ২৫ এপ্রিল নড়াইল সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে কোনো চিকিৎসককে উপস্থিত পাননি। অনুপস্থিত কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কিন্তু তারা কেউ সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
পরে ২৯ এপ্রিল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ওই হাসপাতালের চার চিকিৎসককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে কিছু কিছু চিকিৎসক মাশরাফির সমালোচনা করে তাকে নিয়ে অশালীন ভাষায় পোস্ট দেন।
বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিকস বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. আইরিন আফরোজ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. পঞ্চানন দাশ, নওগাঁ জেলা হাসপাতালের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জুলি, মুন্সিগঞ্জের রসুলপুর ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ফাহমিদা হাসান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেমাটো অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলামকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ডা. আইরিন আফরোজ, ডা. পঞ্চানন দাশ ও ডা. এ কে এমকে মাশরাফিকে নিয়ে অশালীন ও অযাচিত ভাষায় পাবলিক পোস্টে মন্তব্য করার জন্য; ডা. মৌমিতা জুলি ও ডা. আমিনুল ইসলামকে অশালীন ভাষায় মাশরাফিকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া এবং ডা. ফাহমিদা হাসানকে এমন একটি পোস্ট শেয়ার দেওয়ার অভিযোগে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, তাদের দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসগুলো একজন সরকারি কর্মকর্তার জন্য মানানসই নয়। এ ধরনের স্ট্যাটাস দেওয়া অশোভনীয় আচরণ ও সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) ধারা মোতাবেক তাদের এসব কার্যক্রম ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য হবে।
ছয় চিকিৎসককে কেন সংশ্লিষ্ট ধারার অধীনে অভিযুক্ত করা হবে না সে বিষয়ে নোটিশ প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।