সিনেমার প্রচারণার জন্য প্রকাশিত প্রথম ভিডিও ক্লিপে একেবারে হিট, ‘সুপার-ডুপার’ হিট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই তাণ্ডবে যোগ দিয়েছিল ভারত ছাড়িয়ে বিশ্বের বড় বড় সব গণ মাধ্যম।
যাকে নিয়ে এমন মাতাল হাওয়া বইল তিনি কি ভাবছেন? সেটাইতো প্রিয়া প্রকাশ কি ভাবছেন? এত দিন এ নিয়ে তেমন কিছু না বললেও এবার মুখ খুলেছেন খোদ আন্তর্জাতিক গণ মাধ্যম বিবিসি’র কাছে।
বলছেন কি? একচোখের টিপে লক্ষ কোটি হৃদয়কে এফোড়-ওফোড় করা প্রিয়া!
প্রিয়া প্রকাশ বলেন, “রাতারাতি এটা হয়েছে। এরকম কিছু আশা করি নি। ভেবেছিলাম ভিডিওটা হয়তো শুধু কেরালাতে আলোচনার জন্ম দেবে। কিন্তু কখনোই ভাবিনি যে এটা এমন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও চলে যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন,”চোখ মারা নিয়েই লোকজন বেশি কথা বলেছে। আমাকে ‘চোখ মারার রানী’, ‘চোখ মারার সেনসেশন’ ইত্যাদি বলেও তারা ডাকছিলো। আমি মনে করি, আজকালকার দিনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ মনের কথা জানিয়ে দেয়। কথা বলে, বার্তা পাঠায় মোবাইল ফোনে।”
প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়ার বলেন, “নিজেদের আবেগ অনুভূতি প্রকাশে মানুষ এখন প্রচুর স্মাইলি ব্যবহার করে। সামনা সামনি এ সব বিষয়ে কথা বলে না। ওই ভিডিওতে ব্যক্তিগতভাবে এ রকম করে চোখ মারার ফলে লোকেরা এটাকে পছন্দ করল।”
কিন্তু সবাই যে এই ‘চোখ মারার’ ভিডিওটিতে মুগ্ধ হয়েছে তা কিন্তু নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন হালের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনসেশন।
শেষ নবী মোহাম্মদ (সাঃ) স্ত্রী খাদিজাকে উদ্দেশ্য করে গাওয়া হয়েছিলো, এমন অভিযোগ তুলে ভারতের কয়েকটি মুসলমান গ্রুপ তার এবং ওই সিনেমার নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু দেশটির সুপ্রিম কোর্ট মামলাটিকে খারিজ করে দেয়।
‘ওরু আদার লাভ’ নামের ওই সিনেমাটিতে প্রিয়া প্রকাশ একজন ছাত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ে করেন। এটি একটি কিশোর প্রেমের কাহিনীর নির্ভন সিনেমা।
অষ্টাদশী প্রিয়া বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না থাকলে আমার এই ভিডিও ভাইরাল হতো না। হয়তো এই ভিডিওটির লোকজন কথা হয়তো জানতই না।”
রাতারাতি এমন সেনসেশনে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি তিনি আরেকটি কারণে ভীষণ খুশি। তিনি বলেন, “ভারতীয় সিনেমার কথা বললেই সবার প্রথমে মনে হয় বলিউডের কথা। কিন্তু বলিউডের বাইরেও বহু বড় বড় সিনেমা শিল্প রয়েছে- মালায়লাম, তেলেগু, তামিল, কান্নাডা। ওগুলোতেও অনেক ভালো ভালো সিনেমা তৈরি হয়।”