• আট দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ।
• আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শম্পা জাহান এ আদেশ দেন।
চিত্রনায়ক শাকিব খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জে করা প্রতারণা ও মানহানির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী আট দিনের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শম্পা জাহান এ আদেশ দেন।
সিনেমার সংলাপে অনুমোদন ছাড়া হবিগঞ্জের এক ব্যক্তির মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করায় চিত্রনায়ক শাকিব খানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার অপর দুজন হলেন ‘রাজনীতি’ সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদ। তিনজনকে অভিযুক্ত করে প্রতারণা ও ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা করেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের অটোরিকশাচালক ইজাজুল ইসলাম।
গত বছর ২৯ অক্টোবর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শম্পা জাহানের আদালতে এ মামলা হয়। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হবিগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছর ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সময়সীমার মধ্যে পুলিশ প্রতিবেদন দেয়নি। পরে বাদীর পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তাগিদ দেয়। আদালত গত ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেন ডিবির ওসিকে। এ সময়েও তাঁরা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় বাদীপক্ষ আজ মঙ্গলবার আবারও বিষয়টি আদালতকে জানায়। পাশাপাশি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওসি শাহ আলম একই আদালতের কাছে আরও সময় প্রার্থনা করেন। এ আবেদন শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শম্পা জাহান পুনরায় ১৪ মার্চের ভেতরে মামলার প্রতিবেদন জমার তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
মামলার বাদীর আইনজীবী এম এ মজিদ বলেন, ‘এ মামলা দায়ের প্রায় পাঁচ মাস হতে চলেছে, পুলিশ প্রতিবেদন দিচ্ছে না। যে কারণে প্রতিকারের বদলে ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা। আইনজীবী বলেন, ১৪ মার্চের ভেতরে এ মামলার প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। আমরা এখন সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।’
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ‘রাজনীতি’ সিনেমার একটি সংলাপে নায়িকা অপু বিশ্বাসকে তাঁর মুঠোফোনের নম্বর দেন। সিনেমার এ ফোন নম্বরের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের ইজাজুল মিয়ার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরটি।
ইজাজুল অভিযোগ করেন, সিনেমায় তাঁর অনুমোদন ছাড়া এই মুঠোফোন নম্বরটি ব্যবহার করায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অশান্ত হয়ে উঠেছে। দিনের অধিকাংশ সময় তাঁর ব্যয় হচ্ছে উটকো ফোন ধরে। এ ছাড়া সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি। ইজাজুল মিয়া আরও জানান, তাঁর ব্যক্তিগত এই মুঠোফোন নম্বরে গত ১০ জুলাই রাত ১০টা ৬ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড থেকে ১৫ জুলাই রাত ৯টা ২৯ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের মধ্যে ৪৩২টি কল আসে। তাদের বেশির ভাগ নারী ও কিশোরী। তাঁরা শাকিব খানের নম্বর মনে করে তাঁর এ মুঠোফোনে কল দিয়ে আসছেন অনবরত।
ইজাজুল অভিযোগ করেন, অনবরত মেয়েরা ফোন করতে থাকায় তাঁর সংসারে অবিশ্বাস ও অশান্তি তৈরি হয়েছে। এখন তাঁর ভাঙনের উপক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্দর সংসার। যে কারণে তিনি বাধ্য হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।