মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া আট হাজার ৩২ জন রোহিঙ্গার তালিকা ঢাকা সফররত দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খ শোয়ের হাতে তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৈঠক শেষে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ১১ লাখ মিয়ানমার নাগরিকের তালিকা করা হয়েছে।
“বৈঠকে তাদের কাছে এক হাজার ৬৭৩টি রোহিঙ্গা পরিবারের আট হাজার ৩২ জনের তালিকা দিয়েছি।”
এদের ফিরিয়ে নেওয়ার আগে তাদের পরিচয় যাচাই করার কথা মিয়ানমারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
দুই দেশের সীমান্তের ‘শূন্য রেখায়’ অবস্থানরত ছয় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা যাতে তাদের এলাকায় ফিরে যেতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সেদেশে যাবেন বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
“সেখানে জেলা প্রশাসক পর্যায়ে মিটিং হবে।”
কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের ওপর গত ২৫ অগাস্ট নতুন করে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরু হলে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে তারা। এই কয় মাসে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আগে বিভিন্ন সময়ে আসা আরও চার লাখের মতো রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ।
এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্মতিপত্র সই হয়। এর ভিত্তিতে দুই দেশ যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে এবং ১৬ জানুয়ারি ওই গ্রুপের প্রথম বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন বিষয় ঠিক করে ‘ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ স্বাক্ষরিত হয়।
জানুয়ারির শেষ দিকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়।