বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ১২ বছর বয়সী এক মারমা কিশোরীকে হোস্টেল থেকে তুলে নিয়ে একাধিকবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসার চেষ্টা হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। পরে ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ অভিযুক্ত তিন মারমা যুবককে আটক করে। পালিয়ে যায় আরো দু’জন।
এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় না নিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ভুক্তভোগী কিশোরীর চিকিৎসা বাবদ আরো ১০ হাজার টাকা ধার্য করেন রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা। অভিযোগ উঠেছে এলাকার হেডম্যান (মৌজা প্রধান), কারবারি (পাড়া প্রধান) ও ইউপি মেম্বারসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা ১৯ আগস্ট কারবারি থোয়াইসা মারমার বাড়িতে এ সংক্রান্ত সামাজিক সালিশি বৈঠকের আয়োজন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণকারীরা বিদ্যালয়ের পাশের হোস্টেল থেকে ওই স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে একটি নির্ধারিত জায়গায় আটকে রেখে দুই দিন ধরে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ছেড়ে দেয়। এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী ঘটনাটি প্রথমে তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে জানায় এবং এরপর তার পরিবারের লোকজন জানতে পারে।
আগের ঘটনাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন: রুমায় এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তিন যুবক গ্রেফতার
সামাজিক বিচারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে ধর্ষণকারীদের ছেড়ে দেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যাপক প্রচার ও প্রতিবাদ শুরু হয়। ২০ আগস্ট ভোররাতে তিন অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ। বাকি দু’জন এখনো পলাতক।