প্রচ্ছদ পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবান ৪ উপজেলায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খুলবে বান্দরবানের পর্যটন

৪ উপজেলায় নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে খুলবে বান্দরবানের পর্যটন

বান্দরবানের মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে নবনির্মিত ‘দখিনা চত্বর’।

বান্দরবান সদরসহ চার উপজেলার পর্যটন স্পটগুলো আগামী সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে। বাকি তিন উপজেলা খুলে দেওয়ার ব্যাপারে পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।

৩০ অক্টোবর বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি। সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে বান্দরবান সদর, লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে খুলে দেওয়া হবে রুমা,থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলা।

মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ’’পর্যটনের ব্যাপারে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি না। বিভিন্ন সময় মন্ত্রণালয় থেকেও সিদ্ধান্ত আসে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হবার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। সেগুলোও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। বিশেষ করে তারা পর্যটনের সঙ্গে ১১টি পেশা এবং পরোক্ষভাবে আরও ৩৬টি পেশার লোকজনের আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করেছেন। সেসব বিষয় বিবেচনা করে চারটি উপজেলার পর্যটন স্পট সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে।’’

মতবিনিময় সভায় হলিডে ইন রিসোর্টের পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ’’আমাদের প্রচুর ব্যাংক ঋণ আছে। ব্যাংক থেকে বারবার চিঠি দিয়ে তাগাদা দিচ্ছে। কর্মচারি এবং স্টাফদেরও নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পর্যটন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ব্যাংকের কোটি কোটি টাকাও ঝুঁকিতে পড়ে গেছে। হোটেল-মোটেল দেউলিয়া হওয়ার পথে।’’

পর্যটন ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও হোটেল আরণ্যকের পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘‘পর্যটন স্পট বন্ধ থাকলেও ব্যবসায়ীদের পৌর কর, ব্যাংক ঋণ, হোল্ডিং কর, বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করে যাচ্ছি। ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা এই খাতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছে। খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি পর্যটন খুলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বান্দরবানে কোন অস্থিতিশীল পরিবেশ না থাকা সত্ত্বেও এখনও বন্ধ রয়েছে।’’

মতবিনিয় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার শহিদুল কাওছার, ট্যুরিষ্ট পুলিশের সহকারি সুপার নকিবুল ইসলাম, সেনা রিজিয়নের প্রতিনিধি, বিজিবির প্রতিনিধি এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

শেয়ার করুন