বাংলাদেশে নতুন করে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২১৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগী ১২৩১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ৪ জন। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ এবং এক জন নারী। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৫০ জন। নতুন করে মারা যাওয়া চার জনের মধ্যে ৭০ বছরের বেশি বয়স ২ জনের। আর ৫০ বছর একজন রয়েছেন যিনি চিকিৎসক মইনউদ্দিন। তিনি আজ কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে একজন। তবে কোভিড-১৯ ছাড়াও তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ১৭৪০ টি নমুনা পরীক্ষার পর এই সংখ্যা পাওয়া যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ও রেফারেল সেন্টারের রিপোর্টটি যথাসময়ে হাতে না পাওয়ার কারণে গতকালের তুলনায় আজকের পরীক্ষার সংখ্যা কম বলেও ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে গিয়েছেন ৭১ জন। এ নিয়ে মোট ৪৩৩ জন আইসোলেশনে রয়েছেন।
সারা দেশে ৬৪ জেলার সব উপজেলা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭ জন সুস্থ্য হয়েছেন এবং এ নিয়ে মোট ৪৯ জন সুস্থ্য হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ, মিরপুর, বাসাবো এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। নতুন করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও কেরানীগঞ্জেও বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব এলাকায় লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকরের কথা জানানো হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কথা মাথায় রেখে বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ২০০০ শয্যা আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই প্রস্তুত হয়ে যাবে। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনেও ১৩০০ শয্যা প্রস্তুতের কাজ চলছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, সবেচয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ঢাকায়। সেখানে মোট ৫৭ জন কোভিড-১৯ এর রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর পরেই আছে নারায়নগঞ্জ। আর দিনাজপুরে ৭ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যারা সবাই ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে দিনাজপুরে গেছে। তিনি বলেন, নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সংখ্যা আগামী কয়েক দিনে আরো বাড়ানো হবে। আর এর ফলে পুরো বাংলাদেশের চিত্র পাওয়া যাবে। আর তখন দেশের কোন অঞ্চলে কী ধরণের ব্যবস্থা নিতে হবে তা বোঝা যাবে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। তিনি বলেন, যারা সংক্রমণের শিকার হবেন তাদের মধ্যে অধিকাংশের লক্ষণ দেখা যাবে না। কিছুর মধ্যে মৃদু সংক্রমণ থাকবে। কিন্তু যারা বয়স্ক বা অন্য স্বাস্থ্য সমস্যা আছে তারা মারাত্মক পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারেন।