পুরনো টিনশেড ঘর। জরাজীর্ন কক্ষে চলে লেখাপড়া। বর্ষার পানিতে শ্রেণীকক্ষে কাদায় মাখামাখি। এভাবেই চলছে বান্দরবানের লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের মংপ্রু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই জরাজীর্ণ ঘরেই চলছে স্কুলটির কার্যক্রম।
বেসরকারি স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি এটিকে জাতীয়করণ করা হয়। তবে সরকারি মর্যাদা পেলেও এর অবকাঠামোতে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি থোয়াইহ্লামং মারমা জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫টি পদে কর্মরত আছেন ৪ জন শিক্ষক। স্কুল মিল (খাবার) প্রোগ্রামে ২ জন রাঁধুনি আছেন। প্রায় ২শ’ শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি।
তিনি জানান, বিকল্প ভবন না থাকায় জরাজীর্ন টিনশেড ভবনটিতেই শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। বর্ষাকালে ঝড়বৃষ্টি হলে প্রায় সময়ই স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে হয়। এর মধ্যেও গত ২০১৮ সালের সমাপনী পরীক্ষায় এখানকার শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
স্কুলটির বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, সবার স্কুল সুন্দর, শুধু আমাদের স্কুল ভাঙ্গা। বসার বেঞ্চ-টেবিল নেই। অনেক ছাত্রছাত্রী দাঁড়িয়ে ক্লাস করে।
বিদ্যালয়ের জমি দাতা মিদুমা মারমা বলেন, বিদ্যালয়টির ১ একর জমি রয়েছে। পুরাতন টিনশেড ঘরগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এখানে এখন পাকা ভবন হওয়া খুব দরকার।
রুপসীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মারমা বলেন, পর্যাপ্ত শ্রেণীকক্ষ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ঘরেই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
লামা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার চৌধুরী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা না করতে বলা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।