দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ১০টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেশের সবগুলো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় এই কার্যক্রম চালু করবে সরকার। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই কার্যক্রম চালু হবে বলে খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে অঘোষিত লকডাউনের কারণে সবচেয়ে বেশি সংকটে আছে নিম্নআয়ের দরিদ্র ও দিনমজুর মানুষেরা। এই অবস্থায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কোন মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সে লক্ষ্যে সরকার ওএমএস চালুর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। জানা গেছে, উপরের নির্দেশনা পাওয়ার প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে চাল পৌঁছানোর কর্মকৌশল ঠিক করছে খাদ্য অধিদপ্তর। খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সারোয়ার আলম বলেন, ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির একটি সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে। এখন জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগের ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। এসব ত্রাণ যারা পাচ্ছেন তাদের বাইরে যারা আছেন সেই লোকজনকে টার্গেট করে ওএমএস চালু করা হবে। যাতে একই ব্যক্তি যেন কাছে বার বার সুবিধা না পান এবং কেউ যেন বাদ না পড়ে। তিনি আরও জানান, “আমরা কর্মকৌশল ঠিক করছি। মন্ত্রণালয়ের আদেশ পাওয়ার পরপরই এই কার্যক্রম খুব শিগগির শুরু হবে।”
সূত্র জানায়, আগামি সপ্তাহে ডিলারদের মাধ্যমে ওএমএস কার্যক্রম চালু হতে পারে। বর্তমানে ওএমএস’র মাধ্যমে ৩২ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু বাজারে মোটা চালের স্বাভাবিক দাম ও ওএমএসের চালের দাম প্রায় সমান হওয়া গত বেশ কিছুদিন ধরে ওএমএস- এ চাল বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ১০ টাকা কেজি দরে ওএমএস কার্যক্রম চালু করার আগে তারা কর্মকৌশল ঠিক করছেন, যাতে করে একই ব্যক্তি একাধিকবার লাইনে না দাঁড়ায়। যারা বিভিন্নভাবে ত্রাণ সামগ্রী পাচ্ছেন তারাও যেন ওএমএস এর চাল নিতে বার বার না আসেন। এজন্য জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতাও নেয়া হবে।